বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংকে মরণোত্তর নোবেলের দাবি ক্রমেই জোরালো হয়ে উঠছে। সৌজন্যে তাঁর ভক্তকুল ও বৈজ্ঞানিকমহল। এখনও পর্যন্ত একবিংশ শতকের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী হিসেবেই গন্য হন ‘আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’-র জনক। বিজ্ঞানের প্রতি তাঁর অবদান ও পদার্থবিদ্যায় বৈপ্লবিক চিন্তাধারার জন্য হকিং যে নোবেল পাওয়ার জন্য আদর্শব্যাক্তি সেই নিয়ে কেউ দ্বিমত নয়। সম্প্রতি তাঁর ভক্তরা বিভিন্ন সোস্যাল সাইটে হকিংয়ের মরণোত্তর নোবেলের জন্য প্রচার চালিয়ে আসছেন বলে জানা গিয়েছে। ট্যুইটারে এক ভক্ত লিখেছেন, ‘আমরা সৌভাগ্যবান যে আমরা তাঁর দেখা পেয়েছি। শুধু মরণোত্তর নোবেলই নয়, তাঁর নামে একটি পুরস্কারও চালু হওয়া উচিত’। ২০০২ সালে বিবিসির আয়োজিত সেরা ১০০ চিন্তাবিদের মধ্যে ২৫ নম্বর স্থান পেয়েছিলেন হকিং। ব্রিটেন, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর সম্মান ও পুরস্কার লাভ করেন তিনি। যৌবনে ‘মোটর নিউরন ডিজিজে’ আক্রান্ত হওয়া সত্বেও পদার্থবিদ্যা নিয়ে গবেষণা চালিয়ে গিয়েছেন। পরগ্রহীদের অস্তিস্ব ও পৃথিবীর ওপর তাঁদের নজর রয়েছে বলে বিভিন্ন তথ্য তত্ত্বের মাধ্যমে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। এই বিষয়ে তিনি বৈজ্ঞানিকমহলকে বহুবার সতর্ক করার চেষ্টাও করেছেন। ২০১৪ সালে হকিংয়ের জীবন নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘দ্য থিওরি অব এভ্রিথিং’ ছিনিয়ে নিয়েছিল সেবারের অস্কার। স্বনামধন্য এই বিজ্ঞানী গত ১৪ ই মার্চ মারা যান।