পাকিস্তানে চিনা দূতাবাসসহ দু’জায়গায় জঙ্গি হানা, ২ পুলিশ, ৩ জঙ্গি ছাড়াও মৃত ২৫ জন
শুক্রবার, ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে ৯ টা। প্রবল বিস্ফোরনে কেঁপে ওঠে করাচির ক্লিফটন এলাকা। চিনা দূতাবাসে আচমকা জঙ্গি হানায় নিহত হয়েছেন ২ পাকিস্তানি পুলিশ কর্মী। গুরুতর আহত এক চিনা নিরাপত্তা রক্ষী। সিন্ধ পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে খবর, অপারেশনে ৩ জঙ্গি নিহত হয়েছে পুলিশের গুলিতে।
অন্যদিকে, চিনা দূতাবাসে হামলার কয়েক ঘন্টা বাদেই হাঙ্গু জেলার কাছে কালায়ে বাজারে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরনে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। আহত হন কম পক্ষে ৩৫ জন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পরপর দুটি হামলার ঘটনার নিন্দা করে বলেন, এই হামলা পরিকল্পিত। দেশের শান্তি প্রক্রিয়া ও বিচার-ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করতে প্রচেষ্টা এবং চক্রান্ত চলছে।
ক্লিফটনের যে এলাকায় চিনা দূতাবাস, সেখানে রয়েছে মিশন, স্কুল ও বেশ কয়েকটি বড় রেস্তোরাঁ। জঙ্গিরা প্রথমে দূতাবাসের কিছু দূরে গাড়ি থামায় এবং একটি চেকপোস্টের কাছে শূন্যে গুলি ছোড়ে। হ্যান্ড গ্রেনেড দিয়ে আক্রমণ করে। এরপর, দূতাবাসের সামনে পাহারায় থাকা নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে গুলি বিনিময় চলে সন্ত্রাসবাদীদের।
২ পুলিশ কর্মীকে হত্যা করে দুতাবাসের ভেতরে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও রেঞ্জার্স। বেশ কিছুক্ষণ লড়াই চলার পরে ৩ সন্ত্রাসবাদীকে খতম করে তারা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক।
পুলিশ জানিয়েছে, দূতাবাসে কর্মরত চিনা কর্মীরা নিরাপদেই রয়েছেন।
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই সন্ত্রাস হানার তীব্র নিন্দা করে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নিহত পুলিশ কর্মীদের পরিবারকে সমবেদনা জানান। বিদেশমন্ত্রী শাহ মামুদ কুরেশি বলেন, দুই বন্ধু দেশের সম্পর্কে চিড় ধরাতে চাইছে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি।
Comments are closed.