করিমপুরে উপনির্বাচন, ওসিকে সরানোয় কমিশনের উপর ক্ষুব্ধ তৃণমূল

বিধানসভার উপনির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল। তাদের অভিযোগ করিমপুরের জেতা আসনে তৃণমূলকে হারাতে বিজেপি সমানে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। আর তাতে মদত করছে নির্বাচন কমিশন। এর প্রতিবাদে যত দূর যেতে হয়, তত দূর যাওয়া হবে বলে তৃণমূল নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ভোটের মাত্র তিনদিন আগে, শুক্রবার করিমপুর বিধানসভা এলাকার থানাপাড়া থানার ওসিকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর, করিমপুরে আরও পাঁচ কোম্পানি আধা-সামরিক বাহিনি মোতায়েন করা হচ্ছে বলে তৃণমূল খবর পেয়েছে। এসব নিয়েই তারা কমিশনকে কড়া চিঠি পাঠিয়েছে।
দিন কয়েক আগে থানাপাড়া থানার ওসির বিরুদ্ধে তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলে বিজেপি বাজার গরম করেছিল। বিজেপি একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয় সেটি ভাইরালও হয়। তাতে করিমপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা কৃষ্ণনগরের বর্তমান সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে ওই ওসিকে দেখা গিয়েছিল। বিজেপি কমিশনে অভিযোগ করে ওই ওসি মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে ভোটের প্রচারে গিয়েছেন। যদিও মহুয়ার দাবি, নির্বাচন বিধি চালু হওয়ার অনেক আগে এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। সে সময় তাঁর সঙ্গে ওসি সাহেবও ছিলেন। এ নিয়ে তিনিও কমিশনে পাল্টা নালিশ জানান।
এরইমধ্যে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিজেপির এক নির্বাচনী সভায় দলের দুই তারকা নেত্রী রিমঝিম মিত্র ও রূপাঞ্জনা মিত্রকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারেও পুলিশের বিরুদ্ধে কমিশনের কাছে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ জানায় বিজেপি। তারপরই শুক্রবার ওই থানার ওসিকে নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দেয়। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে তৃণমূল কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছে।

Comments are closed.