সাইবার প্রতারকের ফাঁদে ডিজি বীরেন্দ্রর স্ত্রী, খোয়া গেল লক্ষাধিক টাকা, গ্রেফতার ৬

সাইবার প্রতারকদের ফাঁদে পড়লেন খোদ রাজ্য পুলিশের ডিজির স্ত্রী। রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রর স্ত্রী অঞ্জনা গুপ্তার এটিএম কার্ডের পিন হাতিয়ে, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারকরা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অঞ্জনা দেবীর অভিযোগ, গত ৩১ শে মে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। নিজেদের ব্যঙ্ককর্মী বলে পরিচয় দিয়ে তাঁর ডেবিট কার্ডের তথ্য জানতে চায় প্রতারকরা। বলা হয়, ডেবিট কার্ডের যাবতীয় তথ্য না দিলে সেটি ব্লক হয়ে যাবে। রাজ্য পুলিশের ডিজির স্ত্রীও তাদের কথা মতো ডেবিট কার্ডের তথ্য দিয়ে দিয়ে বসেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বেশ কয়েক দফায় অঞ্জনা দেবীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গত ১ লা জুন সিআইডির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন অঞ্জনা গুপ্তা। তদন্তে নেমে ঝাড়খণ্ডের একটি এটিএম প্রতারণা গ্যাংয়ের হদিশ পান সিআইডি অফিসাররা। অভিযুক্তদের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দেখে গ্রেপ্তার করা হয় মোট ৬ জনকে। ধৃতেরা আসানসোল, গিরিডি ও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রাহকদের তথ্য হাতানোর জন্য বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্মীদের একাংশকে হাত করেছে এই গ্যাংটি। সেখান থেকে গ্রাহকদের মোবাইল নম্বর জোগাড় করে ব্যাঙ্ক কর্মী সেজে ফোন করে এটিএম প্রতারণার গ্যাংটি। এই চক্রে আরও যারা জড়িত তাদের খোঁজ করছে পুলিশ।
কিছুদিন আগেই, এটিএম প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আর এম লোধা। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য জেনে নিয়ে প্রায় ১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল প্রতারকরা। নিজের এটিএম কার্ডের নম্বর কাউকে না দেওয়ার জন্য বারবার প্রশাসনিক তরফে প্রচার করা হচ্ছে। তারপরেও সমাজের তথাকথিত উঁচু তলার মানুষরা যেভাবে আর্থিক প্রতারণার শিকার হচ্ছেন, তাতে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের হাজার প্রচারের পর আদৌ মানুষ সচেতন হচ্ছেন কি?

Comments are closed.