কলকাতায় নামছে পরিবেশবান্ধব আরও ৫০ টি ই-বাস, শহরের দুষণ কমাতে নয়া উদ্যোগ রাজ্যের

উষ্ণায়নের হাত থেকে বাঁচতে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎচালিত যানে মুক্তির উপায় খুঁজছে বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছরেই কলকাতার রাস্তায় নামছে আরও ৫০ টি নতুন ইলেকট্রিক বাস। এই ৫০ টি ই-বাসের ডিপো নিউটাউন, বলাকা এবং সাপুরজি কমপ্লেক্সে।
বায়ু দূষণ মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে পেট্রোল-ডিজেল চালিত বাসের বদলে রাস্তায় আরও বেশি করে চলুক ই-বাস। কেন্দ্রীয় সরকারের ভারী শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রক ‘ফেম’ বা ফাস্টার অ্যাডপশন অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং অফ ইলেকট্রিক ভেহিকেলস ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে ই-বাসের জন্য বিশেষ আর্থিক ছাড় দিয়ে থাকে। এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার শুধুমাত্র কলকাতার জন্য প্রথম ধাপে ৮০ টি সরকারি বাস পেয়েছে। যার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবহণ নিগম (WBTC)। ২০২০ সালের মধ্যে আরও ৫০ টি ই- বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ডাব্লুবিটিসি-র পরিচালনায় মোট ১৩০ টি বৈদ্যুতিন বাস চলবে। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, এই ৫০ টি বাতানুকূল বৈদ্যুতিন বাসের সরবরাহ, অপারেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচ ইত্যাদি চূড়ান্ত করে ফেলেছে ডব্লুবিটিসি।
চলতি বছরেই কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে এই ৫০ টি পরিবেশবান্ধব বাস চলাচল শুরু হলে একদিকে যেমন যাত্রীদের সুবিধা হবে তেমনি পরিবেশ রক্ষার দিকটিও বজায় থাকবে। ২০৩০ সালের মধ্যে অধিক সংখ্যক ই-বাস চালানোর মাধ্যমে বছরে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমণ ২ লক্ষ টন হ্রাস পাবে বলে আশাবাদী শুভেন্দু অধিকারীর দফতর।
বায়ু দূষণ কমানোর পাশাপাশি বৈদ্যুতিক বাস চালানোর আর একটা বড়ো লাভজনক দিক হল খরচ বাঁচানো। ডিজেল চালিত বাসের প্রায় এক তৃতীয়াংশ খরচ কম হয় ই-বাস চালাতে। ফলত, অদূর ভবিষ্যতে বাস পরিচালনার সার্বিক খরচও কিছুটা কম হবে বলে মনে করছেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা। এদিকে ই-বাস ডিপোগুলিতেও সোলার সিস্টেম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিচ্ছে ডব্লুবিটিসি।
প্রসঙ্গত, ৮০টি ইলেকট্রিক বাস চালানোর প্রেক্ষিতে কলকাতা পেয়েছে এক অনন্য সম্মান। প্যারিসে প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল আউটলুক-২০২০’র রিপোর্ট অনুসারে, ইলেকট্রিক বাস পরিষেবায় ভারতের একমাত্র শহর হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে কলকাতা। শুধু তাই নয়, গোটা বিশ্বে এই তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে কলকাতা। এই শহরের আগে রয়েছে একমাত্র চিনের শেনঝেন, ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি ও চিলির সান্তিয়াগো। পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানান, আরও বেশি সংখ্যক ই- বাস চালিয়ে পরিবেশ রক্ষার উপর বাড়তি নজর দেবেন তাঁরা।

Comments are closed.