মোদী হাওয়া, ধর্মীয় মেরুকরণ, টাকার খেলায় এই অপ্রত্যাশিত ফল, বিধানসভা ভোটে এর প্রভাব পড়বে নাঃ ফিরহাদ হাকিম

রাজ্যে বিজেপির বিপুল সাফল্য নিয়ে বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে সাংবাদিক বৈঠকে কিছু জানায়নি তৃণমূল নেতৃত্ব। দুপুরেই ট্যুইট বার্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ফলের পর্যালোচনা করতে হবে। তবে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই রেজাল্টের পিছনে মোদী হাওয়া, তৃণমূলের সাংগঠনিক ব্যর্থতা এবং ‘টাকার খেলার’ অভিযোগ তুললেন। পাশাপাশি এই রেজাল্টের প্রভাব দু’বছর পরের বিধানসভা ভোটেও পড়বে না বলে জানান ফিরহাদ হাকিম।
লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির ‘অপ্রত্যাশিত’ ফলে ‘মোদী ওয়েভ’কে কার্যত স্বীকার করলেও, টাকা ছড়ানো আর ধর্মীয় মেরুকরণকেই বিজেপির সাফল্যে প্রধান কারণ বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতা তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
ফিরহাদ হাকিমের কথায়, তৃণমূল সরকারের বিপুল উন্নয়নমূলক কাজ এবং নির্বাচনী প্রচারের পরেও এই ফল একেবারেরই প্রত্যাশিত নয়। রাজ্যে মোদী হাওয়াকে মেনে নিয়েও, বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা ছড়িয়ে ভোট কেনা ও সাম্প্রদায়িক প্রচারকে দায়ী করেছেন ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ করেন, টাকার খেলা খেলেছে বিজেপি, এই ফল অপ্রত্যাশিত। তবে কেন এরকম ফল হল, তা দলের অন্দরে পর্যালোচনা করে দেখা হবে বলে জানালেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতা।
উল্লেখ্য, রাজ্যে যেখানে ৪২ টি আসনই জেতার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল তৃণমূল, সেখানে শেষ পর্যন্ত ২২ টি আসনে আটকে যেতে হয় তাদের। অন্যদিকে রাজ্যে ১৮ টি আসন নিয়ে তৃণমূলের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। বিজেপির ভোটও ছাড়িয়ে গেছে ৪০ শতাংশ। তৃণমূলের সঙ্গে তাদের ব্যবধান এখন মাত্র ৩ শতাংশ ভোটের। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনকেই পাখির চোখ করছে বিজেপি।

Comments are closed.