অযোগ্যতা এবং দুর্নীতির অভিযোগে ৫ বছরে ৩১২ জন সরকারি অফিসারকে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছে, সংসদে জানাল কেন্দ্রীয় সরকার

অযোগ্যতা এবং দুর্নীতির দায়ে শেষ পাঁচ বছরে ৩১২ জন সরকারি অফিসারকে অবসর গ্রহণে বাধ্য করা হয়েছে। সংসদে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন প্রধানমন্ত্রী দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ।
বুধবার সংসদে এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র সিংহ জানান, দুর্নীতি নিয়ে কোনওভাবেই আপোশ করবে না মোদী সরকার। তাই ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ এর মে মাস পর্যন্ত ‘এ ‘ও ‘বি’ গ্রেডের প্রায় দেড় লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকের ওপর নজরদারি চালানো হয়েছে। এর মধ্যে ৩১২ জন সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও কাজে নিষ্ক্রিয়তার প্রমাণ পেয়ে তাঁদের অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কিছুদিন আগে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ডিএমকে নেতা ডি রাজা সংসদে অভিযোগ করেছিলেন, জোর করে একাধিক সরকারি আধিকারিককে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর তার জন্য কোনও উপযুক্ত তথ্য ও কারণ দেখাচ্ছে না মোদী সরকার।
সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সংসদে বুধবার জিতেন্দ্র সিংহ একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ‘এ’ গ্রেডের ৩৬ হাজার ৭৫৬ জন এবং ‘বি’ গ্রেডের মোট ৮২ হাজার ৬৫৪ জন কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকের উপর বাড়তি নজরদারি চালিয়েছিল মোদী সরকার। এঁদের মধ্যে ১২৫ জন ‘এ’ গ্রেডের অফিসারকে কাজে তৎপরতার অভাব ও দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত করা হয়েছ। সেই সঙ্গে ১৮৭ জন ‘বি’ গ্রেডের আধিকারিককেও একই কারণে অবসরের আগেই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে সংসদে মন্তব্য করেন জিতেন্দ্র সিংহ। এছাড়া, বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, কাজে অনীহা, মহিলা সহকর্মীদেরকে যৌন হেনস্থার মতো অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে বলে জানান তিনি।
জিতেন্দ্র সিংহ আরও বলেন, আইনের ভিত্তিতেই ওই সরকারি অফিসারদের বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর কথায়, দুর্নীতি বা কাজে তৎপরতার অভাব থাকলে মেয়াদ শেষের আগে যে কোনও সরকারি অফিসারকে বরখাস্ত করার অধিকার আছে সরকারের।

Comments are closed.