কন্যাশ্রীর আওতায় এবার বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়ারাও, নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্যের

সরকারি স্কুলের পাশাপাশি এবার বেসরকারি স্কুলের ছাত্রীদেরও কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় আনছে রাজ্য সরকার। জেলায় জেলায় এই মর্মে নতুন নির্দেশিকাও পাঠানো হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেন রাজ্যে। যে ছাত্রীদের পারিবারিক আয় দেড় লক্ষ টাকার কম তাদের কন্যাশ্রী প্রকল্পে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হতো। তবে এবার থেকে কন্যাশ্রী প্রাপক ছাত্রীদের পারিবারিক আয়ের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়া হচ্ছে, সেই সঙ্গে বেসরকারি স্কুলের ছাত্রীদেরও কন্যাশ্রী দিচ্ছে মমতার সরকার।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্তির জন্য বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াকে প্রথমে অনলাইনে নিজের নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন জানাতে হবে। এরপর জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট ছাত্রীর নাম ও স্কুলের নাম পাঠাবে রাজ্য সরকারের কাছে। সরকার অনুমোদন দিলে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাবে ওই ছাত্রী।
রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্প রাষ্ট্র সঙ্ঘেও সম্মানিত হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের দাবি, কন্যাশ্রী চালু হওয়ার পর রাজ্যের আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বিশেষত গ্রামাঞ্চলের অনেক পরিবার অর্থাভাবে মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করে, অল্পবয়সেই তাদের বিয়ে দিয়ে দিত। প্রশাসনের দাবি, কন্যাশ্রী চালু হওয়ার পর অনেকাংশে এই প্রবণতা ঠেকানো গিয়েছে। কারণ, কন্যাশ্রীর আওতায় ১৮ বছর বয়স হলে মেয়েরা এককালীন ২৫ হাজার টাকা পায়। আবার ১৩ বছর বয়স হলেই মেয়েদের ১ হাজার টাকা করে দেয় রাজ্য সরকার। এছাড়া, বিজ্ঞান ও কলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনার জন্য যথাক্রমে আড়াই ও দু’হাজার টাকা করে সাহায্য করে রাজ্য। এর ফলে নাবালিকাদের বিয়ে যেমন ঠেকানো গিয়েছে, তেমনি ছাত্রী স্কুল ছুটের সংখ্যা কমেছে এবং উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহ বেড়েছে। এখন থেকে পারিবারিক আয়ের ঊর্ধ্বসীমা উঠিয়ে দেওয়া ও এবং বেসরকারি ছাত্রীদেরও কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় আনার সিদ্ধান্তের পর, এই প্রকল্প আরও ফলপ্রসূ হবে বলে আশাবাদী রাজ্য সরকার।

Comments are closed.