বর্তমানে খড় কুটোর গল্প দেখে খুবই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে দর্শক, তবে কি গুনগুনের মৃত্যু দিয়েই শেষ হচ্ছে খড়কুটো! গল্পের লেখিকার কাছে দর্শকের আর্জি যেন গুনগুনকে বাঁচিয়ে রাখা হয়

স্টার জলসা এক অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক “খড়কুটো”। ধারাবাহিকটি শুরু হয় আজ থেকে দু বছর আগে অর্থাৎ ২০২০ সালের আগস্ট মাসে। প্রথম দিক থেকে ধারাবাহিকের টিআরপি ছিল একেবারে আকাশ ছোঁয়া। তার কারনও ছিল অনেক। প্রাণশক্তিতে ভরা চরিত্র গুনগুনকে দর্শক খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপন করে নিতে পেরেছিলেন গল্পের মধ্য দিয়ে। তাছাড়াও তাবোড়-তাবোড় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয়ে মুগ্ধ করেছিল দর্শককে। তবে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে একটি খবর। ধারাবাহিক নাকি শেষ হয়ে যাবে গুনগুনের মৃত্যু দিয়ে।

ধারাবাহিক সেসব আর পিছনেও জানা যাচ্ছে বেশ কিছু কারণ। বর্তমানে ধারাবাহিকের টিআরপি ঠেকেছে একেবারে তলানিতে। গুনগুনের অতিরিক্ত শিশুসুলভ হাবভাবে একেবারে বিরক্ত হয়ে উঠেছিল দর্শক। এছাড়াও প্রধান আকর্ষণীয় চরিত্র গুনগুনের বাবা অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর মৃত্যুর পর এই ধারাবাহিকের ভিত্তি বেশ খানিকটা নড়ে গিয়েছিল। আবার ধারাবাহিকে বর্তমানে গুনগুনকে প্রায় দেখানোই হচ্ছে না। প্রধান চরিত্রের বাইরে প্রাধান্য পেয়েছে পার্শ্ব চরিত্র।

বর্তমানে ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে কিছু মর্মান্তিক দৃশ্য। গুনগুনের ছোট ননদ সাজির বিয়ের উৎসব পালিত হচ্ছে বাড়িতে। আর সাজির বিয়ের মধ্যেই বেশ সকলকে নিয়ে আনন্দে মেতে রয়েছে এই পরিবারের প্রাণশক্তি গুনগুন। তবে এত আনন্দের মাঝেও গুনগুন বারবার অসুস্থ হয়ে পরছে। ব্রেন টিউমারের আক্রান্ত সে। এরকমই একবার মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যাওয়ার পর তাকে সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। আর সার্জারির জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়। সেখানে গুনগুনের কন্ঠে বলতে শোনা যায়, “আমি যেন অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরিয়ে সবার আগে তোমাকেই দেখতে পাই”। উত্তর সৌজন্য বলে, “আমি এখানেই থাকব।”

এই মর্মান্তিক দৃশ্যে কষ্ট পেয়েছে খড়কুটোর অনুরাগীরা। একদিকে যেমন তারা এই পরিণতিতে কেঁদে ভাসাচ্ছেন। তেমনি অন্যদিকে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন খড়কুটোর গল্পের লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ওপর। তাদের দাবি গুনগুনের মৃত্যু দিয়ে যেন শেষ না করা হয় খড়কুটো। কারণ এর আগেও লেখিকা তার অন্য আরেকটি গল্প অর্থাৎ শ্রীময়ী ধারাবাহিকে দেখিয়েছিলেন রোহিত সেনের মৃত্যু। তাই এবার খড়কুটোর অনুরাগীদের লেখিকার কাছে অনুরোধ যেন গুনগুনের মৃত্যু না দেখানো হয়।

একজন অনুরাগী তো গুনগুনের অপারেশনের ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘তোমাকে এভাবে বিদায় জানাতে পারবোনা গুনগুন। তোমাকে সুস্থ হয়ে আবার ফিরে আসতে হবে। আর যদি তা না হয় যদি তোমায় সত্যিই বিদায় জানানোর ই হয় তাহলে সেই বিদায় আমি জানাতে পারবোনা, সেক্ষেত্রে এটাই আমার শেষ পোস্ট হবে। আর একজন লিখেছেন, ‘আর সহ্য করতে পারব না, প্লিস গুনগুনকে বাঁচিয়ে দিন।’

তবে খড়কুটো ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র গুনগুনের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী তৃনা সাহা। অভিনেত্রী তরফ থেকে জানা গিয়েছে ধারাবাহিকে গুনগুনের মৃত্যু দেখানো হবে এই নিয়ে কোন খবর তাঁর কাছে নেই। এবার দ্বন্দ্বে একটা থেকেই যায় যে তবে কি এইভাবে ধারাবাহিক শেষ হচ্ছে না? প্রসঙ্গত এর আগেও বহু ধারাবাহিক এমন দেখানো হয়েছে যে দুর্ধর্ষ পর্বের পর গল্পের মোড় ঘুরেছে। এবার খড়কুটোর জন্য তা ঠিক কেমন হবে সে কথা বলবে সময়।

Comments are closed.