২০১৯ আর্থিক বছরেই দেশে বন্ধ হয়েছে প্রায় ৭ লক্ষ কোম্পানি, সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে, সংসদে জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী

২০১৯ আর্থিক বছরেই দেশের ৬ লক্ষ ৮০ হাজার সংস্থা বন্ধ হয়েছে, যার মধ্যে সিংহভাগ সংস্থা রয়েছে মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ুও রয়েছে সংস্থা বন্ধের তালিকায়।
গত ২৯ শে জুলাই সংসদ অধিবেশনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানান, মিনিস্ট্রি অফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সে (এমসিএ) প্রায় ১৯ লক্ষ কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন নথিভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩৬ শতাংশ, অর্থাৎ ৬.৮ লক্ষ সংস্থা, যার অধিকাংশই মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে অবস্থিত সেগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এছাড়া বিগত কয়েক মাসের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ু রাজ্যের অর্ধেক সংস্থা বন্ধ হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। মহারাষ্ট্রের ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৪২৫ টি এবং দিল্লির ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৯৩৭ টি সংস্থা বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এরপরেই রয়েছে তামিলনাড়ু ও বাংলা।
এই প্রসঙ্গে সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিক বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের একটি রিপোর্ট বলছে, যে সব সংস্থা ২ বছরের বেশি সময় আর্থিক বিবরণ বা বার্ষিক রিটার্ন জমা দেয়নি তাদেরকে কোম্পানিজ অ্যাক্ট, ২০১৩ র ২৪৮ (১) ধারায় অকেজো সংস্থা বলে ধরে নেওয়া হয়, সেই কারণেই এই সমস্ত সংস্থা বন্ধ হয়ে গিয়ে থাকতে পারে। ২০১৮ সাল থেকেই প্রচুর সংস্থা বন্ধ হচ্ছিল, চলতি বছরে সেই সংখ্যা প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনে প্রকাশ।
২০১৭ সাল থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য হারে সংস্থা বন্ধ হয়েছে। গত ৩ বছরের মধ্যে ১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৮ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে মহারাষ্ট্রের সংস্থা বন্ধের হার। দিল্লিতে এই হার ২৪ থেকে বেড়ে ৪৪ শতাংশ হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে, মিনিস্ট্রি অফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সও প্রায় ৩ লক্ষ ৩০ হাজার শেল কোম্পানির বৈধতা বাতিল করেছে। যার ফলে এই কয়েক মাসে আরও বেশ কয়েক লক্ষ সংস্থা বন্ধ হয়ে থাকতে পারে বলে এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।

Comments are closed.