পার্থ চ্যাটার্জি: ফি বৃদ্ধি করতে পারবে না বেসরকারি স্কুল, মাইনে দিতে না পারলেও অনলাইন ক্লাসের সুযোগ দিতে হবে পড়ুয়াদের

লকডাউনের মধ্যে বেসরকারি স্কুল মাইনে বৃদ্ধি করতে পারবে না, ফের কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি। পাশাপাশি, শিক্ষামন্ত্রী জানালেন, এই পরিস্থিতিতে কেউ মাইনে দিতে না পারলে, পড়ুয়ার অনলাইন ক্লাস বন্ধ করতে পারবে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে এই সংক্রান্ত কড়া বার্তা দেন তিনি।

সূত্রের খবর, শুধু বেসরকারি স্কুলই নয়, পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অনুমোদিত একাধিক ইংরেজি-মাধ্যম স্কুলও পড়ুয়ার ফি জমা না হলে অনলাইন ক্লাস করতে দিচ্ছে না। খাতায় কলমে স্কুলগুলি কিছু না বললেও ফি না দিলে অনলাইন ক্লাস করার অপশন আটকে রাখছে বলে অভিযোগ। ফি জমা পড়লে তবেই অনলাইনে পঠনপাঠনের সাইট ওপেন হচ্ছে। এমনই সব অভিযোগ উঠছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর গত ৮ এপ্রিল করা ভিডিও-বার্তার প্রসঙ্গ টেনে পার্থ চ্যাটার্জি ফেসবুকে লিখেছেন, প্রাইভেট বিদ্যালয়কে ইতিমধ্যে দ্বিতীয়বার জানানো হয়েছে, যে এই মুহূর্তে ফি বৃদ্ধি করা যাবে না। আশা করি, প্রাইভেট স্কুলগুলি সরকারের মনোভাব অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। অভিভাবকদের উপর মানসিক চাপ তৈরি করা থেকে বিরত থাকবে।
গত বুধবার রাজ্যের তরফে দ্বিতীয়বার চিঠি দিয়ে বেসরকারি স্কুলগুলিকে এ ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন শিক্ষা সচিব মনীশ জৈন। বর্ধিত ফি নেওয়া যাবে না এবং টিউশন ফি এবং সেশন চার্জ না নিতে স্কুলগুলি কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সে বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয় স্কুল শিক্ষা কমিশনারেটে। এরপর খোদ শিক্ষামন্ত্রী ফেসবুক পোস্ট করে স্কুলগুলিকে ফের সতর্ক করলেন। এর আগেও পার্থ চ্যাটার্জি জানিয়েছিলেন, কথা না শুনলে প্রয়োজনে স্কুলগুলিকে দেওয়া নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) বাতিল করা হতে পারে। তারপর স্কুলগুলির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফেসবুক পোস্ট করলেন শিক্ষামন্ত্রী।

Comments are closed.