আলিপুরদুয়ারের ৫ আসনেই ভোট শনিবার, ২০১৬ আর ১৯-এ কী ফল ছিল?

আলিপুরদুয়ার জেলায় বিধানসভা আসনের সংখ্যা ৫। ২০১৯ সালের লোকসভার ফল বলছে সবকটি আসনেই এগিয়ে বিজেপি। কেন্দ্রগুলি হল আলিপুরদুয়ার, কালচিনি, ফালাকাটা, মাদারিহাট, কুমারগ্রাম।

দেখে নেওয়া যাক ১৬ আর ১৯ এর ভোটে কী ফল ছিল,

আলিপুরদুয়ার বিধানসভা আসনে ২০১৬ সালে জয়লাভ করেছিলেন তৃণমূলের সৌরভ চক্রবর্তী। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বরঞ্জন সরকার। সৌরভের জয়ের ব্যবধান ছিল সাড়ে ১২ হাজারের বেশি। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রে বিজেপি ৪৭ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে।
এখানে এবার তৃণমূল প্রার্থী সৌরভ চক্রবর্তী। বিজেপি প্রার্থী সুমন কাঞ্জিলাল। কংগ্রেস প্রার্থী দেবপ্রসাদ রায়।

আলিপুরদুয়ারের কালচিনি বিধানসভা কেন্দ্রে ২০১৬ সালে তৃণমূল প্রার্থী উইলসন চম্প্রামারি ২ হাজারের সামান্য বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থী বিশাল লামাকে হারান। ২০১৯ সালে বিজেপি প্রার্থী বার্লা এই বিধানসভায় ৪০ হাজারের বেশি ভোটের লিড নিয়েছিলেন।
এখানে এবার তৃণমূল প্রার্থী পাসাং লামা। বিজেপি প্রার্থী বিশাল লামা।

ফালাকাটা বিধানসভায় ১৬ সালে তৃণমূলের অনিল অধিকারী (৮৬,৬৪৭) হারান সিপিএম প্রার্থী ক্ষিতীশ রায়কে (৬৯,৮০৮)। বিজেপি প্রার্থী পান ৩০ হাজার ভোট। ২০১৯ সালে এই ফালাকাটা বিধানসভায় প্রায় ১৮ হাজার ভোটে এগিয়ে বিজেপি।
এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সুভাষ রায়। সিপিএম প্রার্থী ক্ষিতীশ চন্দ্র রায় আর বিজেপির টিকিটে লড়াই করছেন দীপক বর্মন।

মাদারিহাট বিধানসভাটি আলিপুরদুয়ার জেলায়। সেখানে ২০১৬ সালের বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগগা তৃণমূল প্রার্থীকে ২০ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভায় বিজেপি প্রার্থী জন বার্লা এই মাদারিহাটে প্রায় ৪৫ হাজার ভোটের লিড নেন।
এবার তৃণমূল প্রার্থী রাজেশ লাকড়া (টাইগার)। আরএসপি প্রার্থী সুভাষ লোহার। বিজেপি ভরসা রেখেছে মনোজ টিগগার ওপর।

আলিপুরদুয়ার জেলার অন্তর্গত কুমারগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে ২০১৬ সালে জয় পেয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী জেমস কুজুর (৭৭,৪৩৭)। দ্বিতীয় স্থানে আরএসপি প্রার্থী মনোজ ওঁরাও(৭১,১২৩)। তৃতীয় বিজেপির লিওস কুজুর পেয়েছিলেন ৪৫,১০৩ টি ভোট। ২০১৯ সালে বিধানসভার হিসেব সম্পূর্ণ বদলে যায়। লোকসভার বিজেপি প্রার্থী জন বার্লা কুমারগ্রামে এগিয়ে যান প্রায় ২৯ হাজার ভোটে।
এবার তৃণমূল প্রার্থী লিওস কুজুর। আরএসপির হয়ে লড়ছেন কিশোর মিনাজ। বিজেপি প্রার্থী মনোজ ওঁরাও।

Comments are closed.