এলজিবিটি আন্দোলনে লড়াইকে স্বীকৃতি, টাইম ম্যাগাজিনের প্রভাবশালী ১০০-র তালিকায় সুপ্রিম কোর্টের দুই মহিলা আইনজীবী

তাদের তৎপরতায় বদল এসেছে ১৫০ বছরেরও বেশি পুরনো আইনে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে এলজিবিটি আন্দোলনের স্বার্থে নাছোড় লড়াই এবার অরুন্ধতী কাটজু ও মেনকা গুরুস্বামীকে এনে দিল এক অনন্য সম্মান। টাইম ম্যাগাজিনের এবছরের বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের ১০০ জনের তালিকায় স্থান পেলেন সুপ্রিম কোর্টের এই দুই মহিলা আইনজীবী।

২০১৮ সালে সেপ্টেম্বর মাসে সমকামিতা নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেছিলেন, ‘আমি আমার মতো’। ১৫৭ বছর পর সংশ্লিষ্ট আইনে বদল আনা হয়। একে একদিকে ঐতিহাসিক রায় যেমন বলা যায়, তেমনই একজন মানুষের মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রেও এক যুগান্তকারী স্বাধীনতা। একজন ব্যক্তির যৌন আকাঙ্ক্ষা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় ও অধিকার, দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকার কর্মীদের একটা বড় অংশের দাবিতে অবশেষে শিলমোহর পড়ে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে সমকামিতার বৈধতা আদায়ের সেই লড়াইয়েই বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন আইনজীবী অরুন্ধতী কাটজু ও আইনজীবী মেনকা গুরুস্বামী।
অরুন্ধতী কাটজু ও মেনকা গুরুস্বামী টাইম ম্যাগাজিনের সবচেয়ে প্রভাবশালীদের তালিকায় স্থান পাওয়ার পর তাদের নিয়ে প্রতিবেদন লিখেছেন অভিনেতা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তিনি লেখেন, এলজিবিটিকিউয়ের সমান অধিকারের দাবিতে যারা আওয়াজ তুলেছিলেন, তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন এই দু’জন মানুষ। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে এলজিবিটিকিউ অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে অরুন্ধতী ও মেনকার লড়াই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আরও লিখেছেন, ন্যায়বিচারের দাবিতে তাঁদের যৌথ লড়াই বুঝিয়েছিল, সমাজিক জীব হিসেবে আমাদের প্রত্যেককে প্রগতির পথেই হাঁটতে হবে। আমাদের প্রতিনিয়ত সমাজকে বোঝার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং ভালোবাসাকে গ্রহণ করা শিখতে হবে।
আইনজীবী অরুন্ধতী কাটজু ও আইনজীবী মেনকা গুরুস্বামী ছাড়াও টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় রয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, আমেরিকার প্রাক্তন ‘ফার্স্ট লেডি’ মিশেল ওবামা, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, পোপ ফ্রান্সিস, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, অস্কার জয়ী সঙ্গীতশিল্পী লেডি গাগা, গলফার টাইগার উডস, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকেরবার্গ, রিলায়েন্স কর্ণধার অনিল আম্বানী।

Comments are closed.