কলকাতার মোট আসন ১১। এরমধ্যে সপ্তম দফায় ভোট হয়েছে ৪ আসনে। বাকি ৭ আসনে ভোট অষ্টম দফায়। এই আসনগুলি চৌরঙ্গি, এন্টালি, বেলেঘাটা, জোড়াসাঁকো, শ্যামপুকুর, মানিকতলা, কাশীপুর-বেলগাছিয়া
একনজরে দেখে নেব এই কেন্দ্রগুলিতে ১৬ বিধানসভা আর ১৯ লোকসভা ভোটের ফল কী ছিল?
চৌরঙ্গি বিধানসভায় ২০১৬ সালে জিতেছিলেন তৃণমূলের নয়না ব্যানার্জি (৫৫,১১৯)। হারিয়েছিলেন কংগ্রেসের সোমেন মিত্রকে (৪১,৯০৩)। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রে ২৬,৫৬০ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল।
এবার এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ কুমার পাঠক। তৃণমূল প্রার্থী নয়না ব্যানার্জি। বিজেপি প্রার্থী দেবদত্ত মাজি।
এন্টালি কেন্দ্রে ২০১৬ সালের ভোটে জেতেন তৃণমূলের স্বর্ণকমল সাহা। ২০১৯ সালে এখানে ৪১,৩২০ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল।বেলেঘাটা কেন্দ্রে ১৬ সালে জেতেন তৃণমূলের পরেশ পাল। ২০১৯ লোকসভায় তৃণমূল ৫০ হাজারের বেশি লিড নিয়েছে।
এবার এখানে বিজেপি প্রার্থী ট্রিব্রেয়াল। তৃণমূল প্রার্থী স্বর্ণকমল সাহা। সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী মহম্মদ ইকবাল আলম।
বেলেঘাটা কেন্দ্রে ২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়। সিপিএমের রাজীব বিশ্বাস ছিলেন দ্বিতীয় স্থানে। ১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ ব্যানার্জি জয়লাভ করেন কলকাতা উত্তর লোকসভা আসন থেকে।
এবার তৃণমূল প্রার্থী পরেশ পাল। বিজেপি প্রার্থী কাশীনাথ বিশ্বাস। সিপিএম প্রার্থী রাজীব বিশ্বাস।
২০১৬ সালে জোড়াসাঁকো কেন্দ্রে তৃণমূলের স্মিতা বক্সী জেতেন। ১৯ সালের লোকসভার পর প্রায় ৪ হাজার ভোটে এগিয়ে বিজেপি।
এবার বিজেপির টিকিটে লড়ছেন মীনা দেবী পুরোহিত। কংগ্রেস প্রার্থী আজমল খান। তৃণমূল প্রার্থী বিবেক গুপ্তা।
২০১৬ বিধানসভায় শ্যামপুকুর কেন্দ্রে জেতেন তৃণমূলের শশী পাঁজা। ২০১৯ সালে এখানে ২ হাজার ভোটে এগিয়ে বিজেপি।
এবার ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী জীবন প্রকাশ সাহা। তৃণমূল প্রার্থী শশী পাঁজা। বিজেপির টিকিটে লড়ছেন সন্দীপন বিশ্বাস।
মানিকতলায় বিধানসভা ভোটে জেতেন তৃণমূলের সাধন পাণ্ডে। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রে হাজার ভোটে লিড করছে তৃণমূল।
একুশের ভোটেও তৃণমূল প্রার্থী সাধন পাণ্ডে। বিজেপির টিকিটে লড়ছেন কল্যাণ চৌবে। সিপিএম প্রার্থী রূপা বাগচি।
কাশীপুর-বেলগাছিয়ায় ২০১৬ সালের ভোটে তৃণমূলের মালা সাহা জেতেন। ২০১৯ সালের লোকসভায় প্রায় ১৩ হাজার ভোটে এগিয়ে তৃণমূল।
এই ভোটে তৃণমূল প্রার্থী অতীন ঘোষ। সিপিএম প্রার্থী প্রদীপ দাশগুপ্ত। বিজেপির টিকিটে লড়ছেন শিবাজী সিংহ রায়।
Comments are closed.