ভোট এগোচ্ছে বাংলায়, অন্তত ৭ দফায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যেতে পারে

ভোট এগোচ্ছে বাংলায়। প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছেন উপনির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। দফায় দফায় বৈঠক করছেন প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, বাংলায় ভোট এপ্রিল মাসের মধ্যেই শেষ করে ফেলতে চায় কমিশন। এ মাসেই কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে আসার সম্ভাবনা আছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি জারি হতে পারে বিধানসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি।

২০১১ এবং ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোট হয়েছিল এপ্রিল-মে মাসে। সাধারণত মে মাসের মাঝামাঝি নাগাদ ফল প্রকাশ হয়। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। করোনার জেরে বদলে গিয়েছে সূচি। সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশন চাইছে এপ্রিল মাসের মধ্যেই ভোট পর্ব মিটিয়ে ফেলতে। কারণ বিভিন্ন পরীক্ষার সূচি ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে এপ্রিল মাসের মধ্যে ভোট শেষ করলে সমস্যা হবে না। সূত্রের খবর, ৭ দফায় ভোট করানোর কথা ভাবছে কমিশন। 

প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে লাগাতার বৈঠক করে দিল্লি ফিরে যাবেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। তারপর রাজ্যে আসবে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ফুল বেঞ্চ ঘুরে যাওয়ার অর্থ হল কিছুদিনের মধ্যেই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হবে। সূত্রের খবর এ মাসের শেষ অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে বাংলায় আসতে পারে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সেক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যেতে পারে। 

করোনা পর্বে প্রথম ভোট হয়েছিল প্রতিবেশী বিহারে। তারপর বাংলায় ভোট। সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে এবার রাজ্যে বাড়ছে বুথের সংখ্যা। বাংলায় মোট ৭৮ হাজার বুথ। করোনা আবহে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সর্বোচ্চ  ১,০৫০ জন ভোট দিতে পারবেন। এই হিসেবে রাজ্যে অতিরিক্ত ২৮ হাজার বুথ করতে হবে। স্বভাবতই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বৃদ্ধি পাবে ভোট কর্মী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সংখ্যাও। সুদীপ জৈন রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে কমিশন বদ্ধপরিকর। তাই কোন প্রশাসনিক গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। জানা যাচ্ছে, এমন অভিযোগ পেলেই কড়া পদক্ষেপ নেবে কমিশন। অন্যান্য বারের চেয়ে এবার বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

Comments are closed.