কোভিড হাসপাতালে দৈনিক খাবারের বরাদ্দ বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা করল নবান্ন, বাড়ছে পরিমাণ, দেওয়া হবে টিফিনও

বরাদ্দ বেড়ে ১৭৫ টাকা। রাজ্যের করোনা হাসপাতালগুলিতে রোগী প্রতি খাবারের খরচ বাড়িয়ে দিল সরকার। শুধু তাই নয়, খাবারের পরিমাণ আরও বেশি করা হচ্ছে। মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, কোভিড হাসপাতালগুলিতে রোগীদের খাবারের মান ও পরিমাণ কত হবে।

আগে যেখানে খাবারের জন্য রোগী প্রতি ১৫০ টাকা বরাদ্দ ছিল তা আরও ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা করা হল। এর ফলে খাবারের পরিমাণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত টিফিন যোগ করা হচ্ছে। আগে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং ডিনারের ব্যবস্থা ছিল। সেখানে এখন থেকে যুক্ত হচ্ছে সকালে চা এবং সন্ধ্যের টিফিনের বন্দোবস্ত।

খাবারের মান ও পুষ্টির দিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের করোনা হাসপাতালের রোগীরা সকালে পাবেন চা ও ২ টো বিস্কুট। এরপর ৪ টে করে পাউরুটি, কলা, দুধ ও ডিম দেওয়া হবে। লাঞ্চে থাকছে ভাত, ডাল, সবজি, মাছ বা মাংস এবং টক দই। যাঁরা নিরামিষ খান, তাঁদের জন্য থাকবে পনির বা সোয়াবিন কিংবা মাশরুমের ব্যবস্থা। রাতের খাবারে থাকছে ভাত অথবা রুটি, ডাল, সবজি, মাছ বা মাংস। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত করোনা হাসপাতালে করোনা রোগীদের এবার থেকে এই তালিকা অনুযায়ীই খাবার দেওয়া হবে বলে সরকারি সূত্রে খবর। সেই কারণে জনপ্রতি খাবারের খরচ বাড়িয়ে সরকার ১৭৫ টাকা করেছে।

খাবারে বৈচিত্রের পাশাপাশি পরিমানও বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, প্রতিদিন সকালে চা ও ২ টি বিস্কুট দেওয়া হবে। প্রাতঃরাশে মিলবে ৪ টি পাঁউরুটি, ডিম সিদ্ধ, কলা ও ২৫০ মিলিলিটার দুধ। দুপুরে মিলবে ১৫০ গ্রাম ভাত, ৫০ গ্রাম ডাল, ৯০ গ্রাম ওজনের মাছ বা মাংস, ১০০ গ্রাম দই এবং ১০০ গ্রাম তরকারি। বিকেলে চা ও সঙ্গে ২টি বিস্কুট দেওয়া হবে। রাতে ১০০ গ্রাম ভাত বা রুটি, ৫০ গ্রাম ডাল, ৭৫ গ্রাম তরকারি ১০০ গ্রাম মাছ বা মাংস থাকছে করোনা রোগীদের জন্য।

রাজ্যের বেশ কয়েকটি কোভিড হাসপাতালে খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। কোথাও খাবারের পরিমাণ কম দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করছিলেন রোগীরা, কোথাও আবার খাদ্যমান নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। তারপর রোগীপিছু দৈনিক খাবারের বরাদ্দ ঘোষণা করে খাবারের তালিকা ও মান নির্দিষ্ট করে দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতেও অভিযোগ কমেনি, তাই ফের জনপ্রতি খাবারের জন্য বরাদ্দ বাড়াল রাজ্য সরকার। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেই করোনা রোগীদের জন্যে নতুন করে খাবার বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার।

Comments are closed.