আমফানের সময় উপড়ে যাওয়া গাছ কোথায় গেল? ৩ দিনে রিপোর্ট চাইলেন মমতা

ঘূর্ণিঝড় যশ পরবর্তী রিভিউ মিটিংয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় সেচ দফতরের কাজ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বললেন, প্রতিবছর সেচ দফতর বাঁধ সারাচ্ছে, প্রতিবছরই ভেঙ্গে যাচ্ছে। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে জলে যাচ্ছে। পাশাপাশি আমফানের সময় রাজ্যে যত গাছ উপড়ে পড়েছিল, সেসব কোথায় গেল? ৩ দিনের মধ্যে সব দফতরের রিপোর্ট তলব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

দিঘা নিয়েও এদিন ফের আলোচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দিঘায় সৌন্দর্যায়নের কাজের ভিত্তিটাই ভুল হয়েছে। এবার যাতে ভুল না হয় তা নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের সতর্ক করে দেন। বলেন প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে বাঁচা যাবে না। বরং প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রকৃতিই হোক আমাদের সহায়ক। বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মন্দারমনিতে যেভাবে সমুদ্রের ভেতর ঢুকে হোটেল বানানো হয়েছে তারও সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আপনারা ব্যবসা করুন সরকারের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু নিরাপদ দূরত্ব রাখতে হবে। না রাখলে কী হয় সেটা আপনারা দেখে নিন, বলেন মমতা ব্যানার্জি। 

এদিন মুখ্যমন্ত্রী সবচেয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন সেচ দফতর ও বন দফতরের কাজে। প্রসঙ্গত এই দুই দফতর দীর্ঘদিন পরিচালনা করেছেন বর্তমানে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব ব্যানার্জি।

সাংবাদিক বৈঠকে আলাপন প্রসঙ্গ উঠলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওঁকে নিয়ে প্রশ্ন করবেন না। চ্যাপ্টার ক্লোসড। তিনি বলেন, আলাপন ব্যানার্জি অবসর নিয়ে ফেলেছেন। সরকার সব সময় ওঁর পাশে আছে। 

মুখ্যমন্ত্রী জানান, তাঁকে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক ফোন করেছিলেন। কেন্দ্রকেই টিকা কিনে রাজ্যে সরবরাহ করতে হবে বলে দুজন একমত হয়েছেন। মমতা ব্যানার্জি বলেন, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিয়েছেন। সেটাও আমাদেরই কথা। নবীন বাবু, অরবিন্দ সবাই একজোট আছেন, জানান মুখ্যমন্ত্রী। 

Comments are closed.