Silliguri Model: ‘শিলিগুড়িতে প্রধান শত্রু বিজেপি’ স্লোগান তুলে প্রচারে নামছেন অশোক ভট্টাচার্য

নয়া চেহারায় শিলিগুড়ি মডেল

২০১১ সালে রাজ্যে প্রবল পরিবর্তনের হাওয়ায় কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে বামেরা। ২০১৫ সালে হিমালয়ের পাদদেশে প্রথম মাথা তুলে দাঁড়ায় সিপিএম। রাজ্যের প্রাক্তন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে শিলিগুড়ি পুর কর্পোরেশন দখল করে সিপিএম। মমতা ব্যানার্জি সরকারের আমলে সেই প্রথম লাল পতাকার মাথা তোলা। 

আবার একটি বিধানসভা ভোটের মুখে বাংলা। বিজেপি, তৃণমূলকে একই সারিতে ফেলে রণকৌশল চূড়ান্ত করেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। কিন্তু মেয়র তথা বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য মনে করেন শিলিগুড়িতে প্রধান শত্রু তৃণমূল নয় বরং বিজেপি। সেই মতোই ছক সাজাচ্ছেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা। সম্প্রতি সিপিএমের জেলা পার্টি অফিস অনিল বিশ্বাস ভবনে বৈঠকে বসেন অশোক ভট্টাচার্য, জীবেশ সরকাররা। সেখানে একাধিক নেতার মুখে উঠে আসে, শিলিগুড়িতে বিজেপির ক্রমবর্ধমান শক্তির কথা। সূত্রের খবর, বাস্তব পরিস্থিতি বিচার করতে গিয়ে আলোচনায় এসেছে শিলিগুড়িতে বিপুল অবাঙালি জনসংখ্যার কথা। সেই জনসংখ্যার একটি অংশের মধ্যে ইতিমধ্যেই প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছে গেরুয়া শিবির বলে মনে করেন নেতারা। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকেই পয়লা নম্বর শত্রু হিসেবে মনে করছেন অশোক বাবুরা। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজাচ্ছে শিলিগুড়ি সিপিএম।    

শিলিগুড়ি বিধানসভার অতীতের হিসেব বলছে, ২০১১ সালে সেখানে বিজেপি পেয়েছিল ৬,০৬৯ টি ভোট। ২০১৬ বিধানসভায় তা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ১৯,৩০০। প্রার্থীর নাম ছিল গীতা চ্যাটার্জি। ২০১৯ লোকসভার বিধাসভাওয়ারি ফল বলছে শিলিগুড়িতে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা পেয়েছেন ১ লক্ষের বেশি ভোট। 

অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য ২০১১ সালে অশোক ভট্টাচার্যকে হারিয়েছিলেন। তৃণমূল পেয়েছিল ৭২,৩১৯ টি ভোট। ২০১৬ সালে তৃণমূল প্রার্থী বাইচুং ভুটিয়া হারলে পান ৬৩,৯৮২ টি ভোট। আর ২০১৯ লোকসভায় অমর সিং রাই শিলিগুড়ি বিধানসভা থেকে পেয়েছিলেন ৩৯,৬৬২ টি ভোট। 

এই পরিস্থিতিতে নয়া চেহারায় সামনে আসতে চলেছে শিলিগুড়ি মডেল। যেখানে সিপিএমের পয়লা শত্রু বিজেপি।

Comments are closed.