বড় ম্যাচ শেষে আফশোষ যাচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। একটাই কথা তাঁরা বারবার বলছেন, ‘ইশ এডমান্ড যদি চোট না পেত।’ অথচ বড় ম্যাচের আগে কেউ চিনতেন না তাঁকে। মাত্র কয়েকদিন আগে ইস্টবেঙ্গলের যোগ দিয়েছেন। মিজোরামের এই ফুটবলার খেলতেন বেঙ্গালুরু এফসির বি দলে। স্ট্রাইকার সমস্যা মেটাতে তাঁকে নিয়ে আসেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।
রবিবার ইস্টবেঙ্গল জার্সি গায়ে অভিষেক হয় এই বছর কুড়ির ফুটবলারের। এই অল্প বয়সে অভিষেক বড় ম্যাচে। গ্যালারি ভর্তি দর্শক। প্রচণ্ড চিৎকার। তার মধ্যে দল পিছিয়ে আছে। তিনি মাঠে নামার পর আরও একটি গোল করে মোহনবাগান। ঠিক সময়ে অন্য কোনও ফুটবলার হলে হয়তো নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারতেন না। কিন্তু তিনি যেন অন্য ধাতুতে গড়া। নেমেই চিৎকার করে গ্যালারি তাকাচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই হাটুতে মারাত্মক চোট পান। তবু মাঠ ছাড়েননি। চোট নিয়েই দুরন্ত পাস বাড়ান মার্কোসকে। যেখান থেকে গোল করেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার। কিন্তু প্রচণ্ড যন্ত্রণায় আর খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি এডমান্ড। মাত্র ১৪ মিনিট মাঠে থেকে তাঁকে উঠে যেতে হয়।
তিনি মাঠে থাকলে হয়তো ফলাফল অন্যরকম হতো। নায়ক তো অনেকেই হন। এডমান্ড হয়ে গেলেন বড় ম্যাচের ট্র্যাজিক নায়ক। তাঁর চোট নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সোমবার তাঁর চোটের জায়গায় এমআরআই হয়েছে। মঙ্গলবার জানা যাবে কত দিন তিনি মাঠে নামতে পারবেন না। তবে ইস্টবেঙ্গল সর্মথকরা প্রার্থনা করছেন দ্রুত মাঠে ফিরুন এডমান্ড।
Comments