উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট বলে সবাই হাসতো! ভারতের প্রথম বামন IAS অফিসার হয়ে সবার মুখ বন্ধ করলেন আরতি, করেছেন অনেক মহান কাজ ও

এ সমাজে মানুষ অনেক ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে বেঁচে আছেন। এ সমাজে বহু মানুষ এখনও কুসংস্কার নিয়ে বাঁচেন। কেউ যদি জন্মগত ভাবে বামন হন তাহলে তাকে সহ্য করতে হয় অনেক লাঞ্ছনা-গঞ্জনা। সে স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে চাইলেও সমাজ তাকে বারবার মনে করিয়ে দেয় সে অন্যদের মতো স্বাভাবিক নয়। এই সমস্ত প্রতিকূলতাকে পার করে আরতি হয়ে উঠেছে ভারতের প্রথম বামন আইএএস অফিসার।

ইউপিএসসি ভারতের প্রাচীনতম কঠিন পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় ১০০ জনের মধ্যে হয়ত ১ পাস করতে পারে। এই পরীক্ষায় পাশ করার জন্য প্রয়োজন হয় দীর্ঘ পরিশ্রমের।

খাওয়া-ঘুম পরিবার সবকিছু ভুলে যেতে হয়। এই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পড়াশোনা ছাড়া আর কিছুর কথা মাথায় রাখলে চলে না। এই পরীক্ষায় যারা পাস করেন তাদের কোন একটি জেলার শাসক প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। কোন একটি জেলার শাসক প্রধান মানে তার মাথায় থাকে বিশাল গুরুদায়িত্ব।

যা সামলানো অত সহজ কাজ নয়। এই জায়গায় পৌঁছাতে গেলে প্রয়োজন হয় দীর্ঘ পরিশ্রমের। যা আরতি করেছিল তাই সে আজ রাজস্থানের কোন জেলার আইএএস অফিসার।

ছোট থেকেই তাকে সহ্য করতে হয়েছে অনেক অবহেলা। সে জন্মাবার পরে তার বাবা-মাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সে অন্যদের মত স্বাভাবিক নয়। তার বাবার নাম রাজেন্দ্র ডোগড়া। তিনি ছিলেন সেনার একজন দক্ষ অফিসার। আর তার মা হলেন একজন স্কুলের শিক্ষিকা।

অতএব বোঝাই যাচ্ছে আরতি একটি শিক্ষিত পরিবারের মেয়ে। এরপর স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে তিনি শ্রীরাম কলেজ থেকে ইকোনমিক্স নিয়ে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেন। এরপর থেকেই শুরু হয় আইএএস হওয়ার লড়াই। তিনি ইউপিএসসি জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন এরপর থেকেই।

তাকে নিয়ে অনেক আলোচনা হয় এবং তাকে বহু প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কিন্তু তার ভেতরে ছিল ইচ্ছা এবং জেদ আর বাবা-মায়ের সমর্থন যা তাকে তার লক্ষ্য থেকে সরতে দেয়নি। আজ হে একজন ভারতের সফল আইএএস অফিসার। তার এই লড়াই করার মানসিকতা অনেককেই উদ্বুদ্ধ করে।

Comments are closed.