বিজেপির চাপেই ডিভোর্স নোটিস দিলেন সৌমিত্র? প্রশ্ন সুজাতার

দলের চাপে হয়ত বিবাহ বিচ্ছেদ চাইলেন সৌমিত খাঁ। সৌমিত্রের এই ত্যাগ যদি তাঁকে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে তবে স্ত্রী হিসেবে আমি খুশি হব। স্বামী সৌমিত্র খাঁয়ের ডিভোর্স নোটিস পাঠানোর প্রেক্ষিতে মন্তব্য সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া সুজাতা মণ্ডল খাঁয়ের। তিনি বলেন, পার্টিকে বিশ্বাস দেওয়ার জন্যই হয়ত সৌমিত্রকে বাধ্য হয়ে ডিভোর্স দিতে হচ্ছে।
সোমবার সুজাতার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ স্ত্রীকে ডিভোর্স নোটিস পাঠান। বলেন, তাঁর হয়ে লোকসভা ভোটে নির্বাচনী প্রচার করেছেন স্ত্রী সুজাতা। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সুজাতাকে সম্মান দিয়েছেন। কিন্তু নিজের উচ্চাকাঙ্খার জন্য আজ বিজেপি ছেড়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন। তারপরেই স্ত্রীকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিস পাঠাচ্ছেন বলে জানান বিজেপি সাংসদ। এই প্রেক্ষিতে সুজাতার মন্তব্য, বিজেপির কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করতে স্ত্রীকে ডিভোর্স করার মতো দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে হল সৌমিত্রকে। বিজেপিই তাঁদের এই সম্পর্কের ভাঙনের জন্য বিজেপি দায়ী বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন লোকসভা ভোটে স্বামীর জন্য মাঠে ময়দানে প্রচার চালানো সুজাতা। তাঁর প্রশ্ন, কারও স্ত্রীয়ের পাশাপাশি নিজের আলাদা পরিচয় তৈরি করতে চাওয়াই কি তাঁর অপরাধ? এটাই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের উদাহরণ? সুজাতা আরও বলেন, তৃণমূলের তরফে তাঁকে বলা হয়নি যে, এই দল করার জন্য তাঁকে বিজেপি সাংসদ স্বামীকে ডিভোর্স দিতে হবে। স্বামী- স্ত্রী ভিন্ন রাজনৈতিক দল করলে তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্কে কেন প্রভাব পড়বে, সেই প্রশ্নও তোলেন সুজাতা। তাঁর কথায়, সৌমিত্রকে হয়ত বিজেপির কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করতেই সম্পর্ক ছিন্ন করতে হল। তবে দলের জন্য সৌমিত্রর এই পারিবারিক আত্মত্যাগ যেন বিজেপি মনে রাখে। তাঁকে যদি বঙ্গ বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসেবে প্রোজেক্ট করে তিনিই সবচেয়ে খুশি হবেন বলে মন্তব্য করেন সুজাতা। পাশাপাশি তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কে ভাঙনের জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেন সুজাতা। বলেন, বিজেপিতে সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে পারছিলেন না। যাঁরা কোনওদিন রাজনৈতিক লড়াই করেননি তাঁরাই দলে বহাল তবিয়তে ক্ষমতা ভোগ করছেন। একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নিজের আলাদা পরিচয় গড়তে চাওয়া কি তাঁর ভুল? মন্তব্য সুজাতা মণ্ডল খাঁয়ের।

Comments are closed.