৪০০ বছর পর কাছাকাছি বৃহস্পতি ও শনি! কোথায়, কখন ও কীভাবে দেখা যাবে মহাজাগতিক দৃশ্য?

কখন, কোথায় এবং কীভাবে দেখবেন সেই মহাজাগতিক দৃশ্য?

পৃথিবী, বৃহস্পতি ও শনির কোণের মান শূন্যের (০.১) কাছাকাছি চলে আসার বিরল মহাজাগজিক দৃশ্য ভারত-সহ পশ্চিমবঙ্গের আকাশ থেকেও দেখা যাবে খালি চোখেও। তবে পরিষ্কার ভাবে দেখতে হলে দরকার টেলিস্কোপ বা বাইনোকুলার।
সোমবার পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম রাত এবং ক্ষুদ্রতম দিন। এদিন বিকেল ৪ টা ৫৮ মিনিটে কলকাতায় সূর্য অস্ত যাবে। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন বিকেল ৫ টা ২৮ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭ টা ১২ মিনিট পর্যন্ত দক্ষিণ-পশ্চিম আকাশে সেই প্রত্যক্ষ করা যাবে এই মহাজাগতিক দৃশ্য। তার জন্য অবশ্য বাইনোকুলার বা টেলিস্কোপ ব্যবহার করতে যাবে। জানা যাচ্ছে, কলকাতার সায়েন্স সিটি থেকে সেই মহাজাগজিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকার সুযোগ পাবেন আগ্রহীরা। এদিন বিকেল ৫ টা থেকে বিকেল ৫ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত সায়েন্স সিটিতে টেলিস্কোপে সেই দৃশ্য দেখার সুযোগ মিলবে। এছাড়া দিল্লির নেহরু প্ল্যানেটোরিয়ামের লাইভকাস্টিং করা হবে।
এই মহাজাগতিক ঘটনা সব চেয়ে ভালো দেখা যাবে বিষুবরেখা বা নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে। মোটামুটি পশ্চিম আকাশে এক ঘণ্টা করে এই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখা যাবে এক সপ্তাহ ধরে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন প্রতি ২০ বছরে বৃহস্পতি এবং শনির মধ্যে দূরত্ব কমে যায়। কিন্তু এবার সেই দুই গ্রহের মিলন বা ‘গ্রেট কনজাংশন’ হবে। যা অত্যন্ত বিরল। ১৬২৩ সালে শেষবার এত কাছাকাছি এসেছিল বৃহস্পতি ও শনি। কিন্তু তা পৃথিবী থেকে দেখা যায়নি। পৃথিবী থেকে সেই মহাজাগতিক দৃশ্য শেষবার দেখা যায় ১২২৬ সালের ৪ মার্চ। অর্থাৎ, প্রায় ৮০০ বছর পর পৃথিবী থেকে আবার সেই মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকবে পৃথিবী। ২০৪০ সালে বৃহস্পতি আবার শনিকে অতিক্রম করলেও রাতের আকাশে তাদের এই মিলন প্রত্যক্ষ করতে অপেক্ষা করতে হবে ২০৮০ সাল পর্যন্ত!

Comments are closed.