টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে ব্যাপক ছাঁটাই, বাংলার পর এবার কেরলে কাজ হারালেন ১৩ জন, বন্ধ হচ্ছে ৩ টি এডিশন

বিশ্বের সবচেয়ে বড় মিডিয়া সংস্থা ভারতের বেনেট কোলম্যান অ্যান্ড কোম্পানি। যা টাইমস গ্রুপ নামে পরিচিত। করোনাভাইরাস রুখতে জারি করা লকডাউনের মধ্যে টাইমস গ্রুপের বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে একাধিক কর্মীর চাকরি গিয়েছে। কমানো হয়েছে বেতনও।

সম্প্রতি thebengalstory জানিয়েছিল, টাইমস গ্রুপের বাংলা দৈনিক এই সময়ে ফোন করে ৯ সাংবাদিককে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। এবার কেরলে ১৩ জন সংবাদকর্মীকে ছাঁটাই করল তারা। এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে নিউজ পোর্টাল The News Minute এ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এই ১৩ জনের মধ্যে ৭ জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে ভিডিও কল করে। তবে আরও কেউ এমন কল পেয়েছেন কিনা তা জানা যায়নি বলেও প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে। এছাড়া সার্কুলেশন বিভাগের ১২ জন কর্মী এবং মার্কেটিংয়ের কয়েকজনকেও অফিস আসতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

কোভিড ১৯ মোকাবিলায় প্রায় দু’মাস হতে চলল চলছে দেশজুড়ে লকডাউন। এই সময়ের মধ্যে একাধিক মিডিয়া সংস্থায় কর্মী ছাঁটাই কিংবা বেতন কাটার ঘটনা ঘটেছে। সংস্থাগুলোর দাবি, খরচ কমাতে এই পদক্ষেপ অবশ্যম্ভাবী। যদিও এই যুক্তির প্রতি যুক্তিও আছে।

কেরলে টাইমসের ছাঁটাই হওয়ার এক সাংবাদিককে উদ্ধৃত করে The News Minute প্রতিবেদনে লিখেছে, আমরা সবাই জানতাম খরচ কমানোর একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এজন্য লকডাউনের আগেই একটি অপেক্ষাকৃত ছোট অফিসে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আমাদের। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার, গত অর্থবর্ষে যথারীতি লাভ করেছে টাইমস গ্রুপ।

জানা যাচ্ছে, কেরলের কোট্টাম, ত্রিসুর এবং মালাবার এডিশন শেষবার বেরোবে ৩১ মে। ফলে এই সংস্করণের কর্মীদের চাকরি যাওয়া নিশ্চিত।

The News Minute এর প্রতিবেদন বলছে, টাইমস গ্রুপ ছাঁটাইয়ের আগে কর্মীদের জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি। স্বভাবতই নোটিস পিরিয়ডের প্রশ্নই ওঠে না।

পোর্টাল Newslaundry তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে আরেকটি চাঞ্চল্যকর ঘটনার কথা। গত সপ্তাহেই টাইমস গ্রুপের পূর্ব ভারতের একটি ব্যুরোর প্রধান বা ব্যুরো চিফকে শীর্ষ মহল থেকে বলা হয়েছিল, তাঁর টিমের কোনও একজনকে বেছে নিতে, যাঁকে ছাঁটাই করা হবে। এমন শর্তে অপমানিত হয়ে নিজেই চাকরি থেকে ইস্তফা দেন টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় ৮ বছর চাকরি করা ওই ব্যুরো চিফ।

Comments are closed.