৯১ টি ওষুধ গুণমান পরীক্ষায় ফেল, বাজার থেকে সেগুলি তুলে দেওয়ার নির্দেশ কেন্দ্রের

কেন্দ্রীয় গুণমান পরীক্ষায় ফেল করল বাজার চলতি ৯১ টি ওষুধ। সেগুলি বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। বিভিন্ন কোম্পানির প্রেসার, গ্যাস, গলস্টোন, অ্যান্টি- বায়োটিক, আয়রন সাপ্লিমেন্ট, বিভিন্ন মলম সহ মোট ৯১ টি ওষুধ গুণমান পূরণে অক্ষম হয়েছে। ওষুধের কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থা ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) এ নিয়ে নির্মাতা সংস্থাগুলিকে চিঠি ধরিয়েছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার পরীক্ষায় ফেল হওয়া ওষুধগুলিকে দ্রুত বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
সূত্রের খবর, গুণমানে ব্যর্থ হওয়া কয়েকটি ওষুধ বাজারের ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত দখল করে রেখেছে। কয়েকশো কোটি টাকার ব্যবসা করেছে এই ওষুধগুলি দেশজুড়ে রমরমিয়ে বিক্রি হওয়ায়।
গলস্টোনের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ওষুধ গুণমান যাচাইয়ের ‘আইডেন্টিফিকেশন’ পরীক্ষায় ফেল করেছে। ফার্মাকোপিয়া অনুযায়ী, কোনও ওষুধে তার মূল উপাদানটি নির্দিষ্ট মাত্রায় থাকতে হয়। তবেই তা কার্যকর হয়। আইডেন্টিফিকেশনের মাধ্যমে তা সুনিশ্চিত করা হয়। কয়েকটি ওষুধ ফেল করেছে ‘ডিসিলিউশন’ পরীক্ষায়। সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় দেখা হয়, ওষুধটি কত সময়ে এবং কীভাবে মানব শরীরে মেশে। এই পরীক্ষায় ফেল হওয়ার অর্থ হল, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেগুলি মানবশরীরে মিশে কাজ করছে না। সিডিএসসিও-র এক আধিকারিকের কথায়, এই দুই পরীক্ষায় কোনও ওষুধ ফেল করলে তাকে বাজারে রাখা উচিত নয়। যদিও পরীক্ষায় ফেল হওয়া ওষুধের অধিকাংশ কোম্পানি সাফাই দিচ্ছে, এগুলি তাদের ওষুধই নয়। তাদের ব্র্যান্ডের নকল করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী করে খাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে অল ইন্ডিয়া কেমিস্ট অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউটর্স ফেডারেশনের এক শীর্ষ কর্তা জানান, ওষুধের নিম্নমান ধরা পড়লেই বহু কোম্পানি সাফাই দেয়, সেই ব্যাচের ওষুধ না কি তাদের নয়। যেই বানাক, বাজারে ছড়িয়ে পড়লে ভুক্তভোগী তো সাধারণ মানুষই হবে। রাজ্যের সদ্যনিযুক্ত ড্রাগ কন্ট্রোলার এ বিষয়ে জানান, বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।

Comments are closed.