কাশ্মীরে আরও আধাসেনা মোতায়েন কেন্দ্রের, গ্রেফতার ইয়াসিন মালিক সহ ১৩০ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা

জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল কেন্দ্র। জরুরি ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটি নোটিস জারি করে শ্রীনগরে অতিরিক্ত সেনা পাঠায়। শুক্রবার গভীর রাত থেকে শুরু হয় বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের ধরপাকড়। শনিবার আরও ১০০ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে  উপত্যকায়।

শুক্রবার রাত থেকে এ পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা ইয়াসিন মালিক ও জামাত-ই-ইসলাম (কাশ্মীর)-এর নেতা আব্দুল হামিদ ফায়েজ সহ ১৩০ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
জম্মু-কাশ্মীরে জামাত-ই-ইসলামিকে একসময় জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের ‘রাজনৈতিক সংগঠন’ বলে মনে করা হত। জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে এর আগেও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে আবার এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ইয়াসিন মালিক, সৈয়দ আলি শাহ গিলানি, সাবির শাহ ও সালিম গিলানির মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের যে নিরাপত্তা দিত, তা পুলওয়ামা হামলার পর তুলে নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ২৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে সংবিধানের ৩৫(এ) ধারা নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা। ১৯৫৪ সালে ভারতীয় সংবিধানে যুক্ত হওয়া এই ধারায় জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দাদের বিশেষ অধিকার ও সুবিধাকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রের এই ধরপাকড়ের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি সুপ্রিমো মেহবুবা মুফতি। ট্যুইটে তাঁর প্রশ্ন, কীসের ভিত্তিতে হুরিয়ত নেতা ও জামাত কর্মীদের গ্রেফতার করল কেন্দ্র? মুফতি লেখেন, একজন মানুষকে গ্রেফতার করা যায় কিন্তু তাঁর ধারণাকে নয়। পিপল’স কনফারেন্স নেতা সাজাদ লোনও কেন্দ্রের এই গ্রেফতারির নিন্দা করেন। তিনি ট্যুইটে লেখেন, ১৯৯০ সালেও এমন ধরপাকড় চালানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। এই ‘ব্যর্থ মডেল’ দিয়ে কোন কাজ হবে না বলে কেন্দ্রকে সাবধান করেন সাজাদ লোন।

Comments are closed.