লাগাতার বিতর্কিত মন্তব্য়ের জের, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকে দিল্লিতে তলব মোদি-শাহের

মুখ্যমন্ত্রিত্বের মাস দেড়েকের মধ্য়েই একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য়। আর তাতেই সংবাদমাধ্য়ম থেকে সোশ্য়াল মিডিয়ায় বারবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ত্রিপুরার সদ্য় নির্বাচিত মুখ্য়মন্ত্রীকে। এবার এর জেরেই তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠালেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। মে মাসের ২ তারিখে তিনি দিল্লি যাবেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর।
মহাভারতের যুগে ইন্টারনেট থেকে ১৯৯৭ সালের মিস ওয়ার্ল্ড মনোনীত হওয়া ডায়না হেডেনের গায়ের রঙ, বিবিধ বিষয়ে বিপ্লববাবুর মন্তব্য়ে শুরুর থেকেই যথেষ্ট অস্বস্তিতে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের বসা উচিত নয়, বরং সিভিল ইঞ্জিনিযাররা এ’কাজ দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করতে পারবেন, বিপ্লববাবুর এহেন মন্তব্য়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় ওঠে। যদিও পরে বয়ানের হেরফের করে তিনি পরিস্থিতি সামাল দেন। ৪৬ বছর বয়সী ত্রিপুরার মুখ্য়মন্ত্রীর কথায়, রাজ্যের যুবসমাজের সরকারি চাকরির জন্য় কোনও রাজনৈতিক দলের ওপর ভরসা না করে পানের দোকান দেওয়া উচিত। এমনকী তিনি তাঁদের গরু কেনারও পরামর্শ দেন। এরপরই বিজেপির অন্দরমহলে অসন্তোষ ক্রমাগত বাড়তে থাকে।
অন্য়দিকে, ত্রিপুরায় সদ্য় সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীরা তাঁদের খরচ সীমার কতটা ব্যয় করেছেন, তার পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে এডিআর নামে একটি সমীক্ষা সংস্থা। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২৫ বছরের বাম শাসনের আবসান ঘটাতে বিজেপির ৩৬জন প্রার্থী খরচ করেছেন গড়ে ১২.৯৬ লক্ষ টাকা। তারপরই রয়েছে বিজেপির জোট সঙ্গী আইপিএফটি। তাদের প্রার্থীরা গড়ে খরচ করেছেন ১০.৬৯ লক্ষ টাকা। নির্বাচনী প্রচারে খরচের ক্ষেত্রে বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে সিপিআইএম। তাদের প্রার্থীরা খরচ করেছেন গড়ে ৭.৬৮ লক্ষ টাকা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.