চিন নাকি এলিয়েনদের সিগন্যাল পাচ্ছে! রিপোর্ট ঘিরে শুরু শোরগোল 

কয়েক শতক ঘিরে ভিন গ্রহের সন্ধান চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি পৃথিবীর বাইরেও মানুষের বাস যোগ্য পরিবেশের সন্ধান চালানো হচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরেই। ভিন গ্রহের প্রাণী বা এলিয়েনদের অস্তিত্ব রয়েছে এমনটাও অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন। যদিও এলিয়েনদের অস্তিত্ব নিয়ে সেই অর্থে এখনও কোনও প্রমাণ মেলেনি। আর এই আবহে চিনের দাবি ঘিরে গোটা বিশ্বে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পৃথিবীর বৃহত্তম টেলিস্কোপে নাকি এলিয়েনদের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে এমনটাই দাবি চিনের। 

চিনের দক্ষিণ-পশ্চিম গুইঝো প্রদেশে বসানো রয়েছে পৃথিবীর বৃহত্তম রেডিও টেলিস্কোপ Sky Eye। টেলিস্কোপটির ব্যাস ৫০০ মিটার। ক্ষিণতর রেডিও সিগন্যাল ধরতে সক্ষম ওই টেলিস্কোপে নাকি ভিন গ্রহের সিগন্যাল ধরা দিয়েছে। ২০২০ সেপ্টেম্বর থেকে ভিন গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজছে ওই টেলিস্কোপ। এর আগেও নাকি দু’বার ওই টেলিস্কোপে রহস্যজনক সিগন্যাল ধরা দিয়েছে। ফের আর একবার এলিয়ানদের অস্তিত্ব নিয়ে দাবি করল তারা। 

সম্প্রতি চিনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত পত্রিকায় রহস্যজনক সিগন্যালের কথা দাবি করা হয়। খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই দেশের অন্তরে তো বটেই সারা বিশ্বেও তোলপাড় শুরু হয়েছে। পরে ব্রিটেনের Nature জার্নালেও এই বিষয়ে বিশদে লেখালেখি শুরু হয়। যদিও শোরগোল শুরু হতেই ওই সংবাদ পত্রের ওয়েবসাইট থেকে খবরটি মুছে ফেলা হয়। খবর ডিলিট করলেও এলিয়ানদের অস্তিত্ব নিয়ে আলোচনা থামেনি। বরং বেড়েই চলেছে। 

চিনের দৈনিক সংবাদপত্র ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’র দাবি পৃথিবী থেকে প্রায় ৩০০ কোটি আলোকবর্ষ দূর থেকে একটি রহস্যজনক আলোর ঝলকানি টেলিস্কোপে ধরা দিয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায়, ওই রহস্য জনক আলোর ঝলকানিকে রেডিও বার্ডস বলা হয়ে থাকে। সাধারণত প্রত্যেকবার কয়েক সেকেন্ডের জন্য এই সিগন্যাল স্থায়ী হয়। প্রত্যেকবারের সিগন্যালকে একত্রিত করে বিজ্ঞানীর উৎস খোঁজার চেষ্টা করে। কিন্তু চিনের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের দাবি, Sky Eye টেলিস্কোপে ঘন্টায় বেশ কয়েকবার ওই রহস্যজনক সিগন্যাল ধরা পড়েছে। আর তা থেকেই আশার আলো দেখছে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ওই সিগন্যালগিলোকে সূত্র হিসেবে ধরে ফের একবার ভিন গ্রহের প্রাণী খুঁজতে উঠে পড়ে লেগেছে বিশ্বের তাবড় তাবড় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। 

Comments are closed.