দ্বিতীয় দফায় পশ্চিম মেদিনীপুরের ৯ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ, ২০১৬ বিধানসভা ২০১৯ লোকসভায় কী ফল ছিল?

পশ্চিম মেদিনীপুরের ৯ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ ১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার। জেলার ৯ টি বিধানসভা কেন্দ্র হল- খড়গপুর সদর, নারায়ণগড়, সবং, পিংলা, ডেবরা, দাসপুর, ঘাটাল, কেশপুর এবং চন্দ্রকোনা।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, পশ্চিম মেদিনীপুরের যেসব আসনে ভোটগ্রহণ হবে সেইসব আসনের কী অবস্থা?

খড়গপুর সদর কেন্দ্রে ২০১৬ সালে জিতেছিলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। ২০১৯ সালে তিনি লোকসভা ভোটে দাঁড়ান। এই কেন্দ্রে বিজেপির লিড ৪৫ হাজারের বেশি। কিন্তু এই আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার বিজেপি প্রার্থীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে দেন।
খড়্গপুর সদরে বিজেপির প্রার্থী হলেন অভিনেতা হিরণ চ্যাটার্জি। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন প্রদীপ সরকার। অন্যদিকে রয়েছেন সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেসের রীতা শর্মা।

নারায়ণগড় আসনে ২০১৬ সালে সিপিএম প্রার্থী সূর্যকান্ত মিশ্রকে হারিয়ে জয়লাভ করেন তৃণমূলের প্রদ্যুতকুমার ঘোষ। ২০১৯ সালের লোকসভার হিসেবে এই কেন্দ্রে প্রায় ৯ হাজার ভোটে এগিয়ে বিজেপি।
এই কেন্দ্রে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সূর্যকান্ত অট্ট। বিজেপির তরফে লড়ছেন রামপ্রসাদ গিরি। অন্যদিকে সিপিএমের তাপস সিনহা।

সবং বিধানসভায় ২০১৬ সালে জেতেন কংগ্রেসের মানস ভুঁইয়া। তারপর তিনি দল বদলে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১৯ সালের লোকসভায় ৬ হাজার ভোটে এগিয়ে তৃণমূল।
এবার তৃণমূল কংগ্রেস মানস ভুঁইয়াকেই প্রার্থী করেছে। বিজেপির হয়ে দাঁড়াচ্ছেন অমূল্য মাইতি। কংগ্রেসের চিরঞ্জীব ভৌমিক।

পিংলা আসনে ২০১৬ সালে জেতেন তৃণমূলের সৌমেন মহাপাত্র। ১৯ সালের লোকসভায় এই কেন্দ্রে ১ হাজারের সামান্য বেশি ভোটে এগিয়ে তৃণমূল।
এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অজিত মাইতি। বিজেপির হয়ে লড়ছেন অন্তরা ভট্টাচার্য। সংযুক্ত মোর্চার হয়ে দাঁড়িয়েছে সমীর রায়।

২০১৬ সালের বিধানসভায় ডেবরা আসনে জেতেন তৃণমূলের সেলিমা খাতুন। ২০১৯ সালের লোকসভায় ডেবরা আসনে ৪ হাজার ভোটে এগিয়ে বিজেপি।
ডেবরা কেন্দ্রে এবার মুখোমুখি দুই প্রাক্তন আইপিএস অফিসার। একজন তৃণমূল কংগ্রেসের হুমায়ুন কবীর অপরজন বিজেপির ভারতী ঘোষ। অন্যদিকে, রয়েছেন সিপিএমের প্রাণকৃষ্ণ মণ্ডল।

দাসপুর বিধানসভায় ২০১৬ সালে জিতেছিলেন তৃণমূলের মমতা ভুঁইয়া। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রে ১০ হাজার ভোটের লিড আছে তৃণমূলের।
এই কেন্দ্রে এবারও তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মমতা ভুঁইয়া। বিজেপির প্রার্থী প্রশান্ত বেরা। সিপিএম প্রার্থী ধ্রুবশেখর মণ্ডল।

ঘাটাল বিধানসভায় ২০১৬ সালে তৃণমূলের শঙ্কর দলুই ১,০৭,৬৮২ ভোট পান। দ্বিতীয় স্থানে সিপিএম প্রার্থী কমল দলুই পান ৮৮,২০৩ টি ভোট। ২০১৯ লোকসভায় এই কেন্দ্রে ৩ হাজারের সামান্য বেশি ভোটে এগিয়ে তৃণমূল।
এই কেন্দ্রে এবারও তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শংকর দলুই। বিজেপি প্রার্থী শীতল কাপাট। সিপিএমের হয়ে কমল দলুই লড়ছেন।

কেশপুর বিধানসভা আসনে ২০১৬ সালে জেতেন তৃণমূলের শিউলি সাহা (১,৪৬,৫৭৯)। দ্বিতীয় সিপিএমের রামেশ্বর দলুই পেয়েছিলেন ৪৫,৪২৮ ভোট। ২০১৯ সালে এখানে ৯২ হাজার ভোটে এগিয়ে তৃণমূল।
এই কেন্দ্রে এবারও তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শিউলি সাহা। বিজেপির তরফ থেকে দাঁড়াচ্ছেন পৃথ্বীশরঞ্জন কুয়ার। সিপিএমের রামেশ্বর দলুই।

চন্দ্রকোণা আসনে ২০১৬ সালে জয়ী হন তৃণমূলের ছায়া দলুই। ২০১৯ লোকসভার পর এখানে ৩ হাজার ভোটে এগিয়ে তৃণমূল।
এই কেন্দ্রে এবার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ ধাড়া। বিজেপি প্রার্থী শিবরাম দাস। সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত আইএসএফ প্রার্থী গৌরাঙ্গ দাস।

Comments are closed.