সম্প্রতি নান্দি ফাউন্ডেশন সংকলিত প্রজেক্ট নানহি কলির একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। দেশের ৩০ টি রাজ্যের ৬০০ টি জেলার ৭৪ হাজার কিশোরীর উপর এই সমীক্ষার রিপোর্টে প্রকাশ, যে চারটি রাজ্যে ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী মেয়েদের স্বাক্ষরতার হার ১০০ শতাংশ, তার মধ্যে একটি হল বাংলা। যেখানে ভারতের কিশোরী সাক্ষরতার হার ৮০.০৬ শতাংশ, সেখানে বাংলার কিশোরীদের শিক্ষার হার ১০০ শতাংশ। ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী এই কিশোরীরা সবাই পড়াশুনো করছে বলে নান্দি ফাউন্ডেশন সংকলিত প্রজেক্ট নানহি কলির টিন এজ গার্লস (ট্যাগ) রিপোর্টে প্রকাশ।
ট্যাগ রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশের কিশোরীদের সংখ্যা প্রায় আট কোটি। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী মেয়ের সংখ্যা ৬১ লক্ষ ৩০ হাজার। আর কলকাতায় এই সংখ্যা ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার। রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের সমস্ত কিশোরী শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে, পানযোগ্য জল ও সুষ্ঠু স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছে।
শিক্ষা ও বিয়ে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কিশোরীদের অবস্থাও তুলে ধরা হয়েছে এই রিপোর্টে। জানা যাচ্ছে, ৬৫.৮ শতাংশ কিশোরীর ইচ্ছে, উচ্চশিক্ষা ও ডিগ্রি লাভ করা। রাজ্যের রাজধানীর ৭২.৩ শতাংশ কিশোরী এই একই ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। ইংরেজি ও কম্পিউটার শিক্ষার ব্যাপারে তাঁরা বিশেষ ইচ্ছুক। রাজ্যের ৯১.৬ শতাংশ কিশোরী জানিয়েছি ইংরেজি জানা ও কম্পিউটার স্কিল বাড়াতে তাঁরা অত্যন্ত আগ্রহী। রাজ্যের ৭০.৮ শতাংশ এবং কলকাতার ৫৯.১ শতাংশ কিশোরী বলছে, পড়াশোনা শেষে চাকরি করাই তাঁদের লক্ষ্য।
এখন রাজ্যের ৮৮.৯ শতাংশ এবং কলকাতার ৯৪.২ শতাংশ টিনএজার কিশোরী অবিবাহিতা। এদের ৭৫ শতাংশ জানিয়েছে, ২১ বছর পেরলেই তারা বিয়ে করতে চায়। কলকাতায় এই হার ৮৮.১ শতাংশ।
বাংলার কিশোরীদের স্বাস্থ্যের হাল কেমন তারও একটা তথ্য উঠে এসেছে নান্দি ফাউন্ডেশন সংকলিত প্রজেক্ট নানহি কলির রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, বাংলার ৪৩.১ শতাংশ এবং কলকাতার ৫৫ শতাংশ কিশোরীর দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক। রাজ্যের ৭৯.৫ শতাংশ এবং কলকাতার ৯৮.৫ শতাংশ কিশোরী জানিয়েছে তারা শৌচাগারের সুবিধা পেয়েছে।
Comments are closed.