ধৃত চিনা নাগরিক হান জানুইকে ঘিরে ক্রমশ ঘণীভূত হচ্ছে রহস্য। তদন্তকারীদের অনুমান, এই চিনা গুপ্তচরের শরীরের ভিতরে লুকিয়ে রাখা আছে মাইক্রোচিপ বা কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইস। নিশ্চিত হতে হানের সিটি স্ক্যান করানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে ধৃতের কাছে বাজেয়াপ্ত হওয়া ল্যাপটপ ও আইফোন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তদন্তকারীরা। কারণ সেইসব ইলেকট্রনিক জিনিসের পাসওয়ার্ড ম্যান্ডারিন ভাষায়।
এছাড়া আরও একটি সোশ্যাল গ্রুপে এই ভাষায় কথোপকথনেরও তথ্য মিলেছে। ভারতে এই ভাষা জানেন, এমন ব্যক্তির খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। জানা গেছে ভারত থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ সিম সে চিনে পাঠিয়েছিল। যেগুলো সাইবার ক্রাইম ও আর্থিক প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা হত।
ভারতে শুধুমাত্র আর্থিক প্রতারণা ছাড়াও হানের আর অন্য কোনও উদ্দেশ্য আছে কিনা, তা জানার জন্য মঙ্গলবার তাকে জেরা করবেন মালদা জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া ও ডেপুটি পুলিশ সুপার প্রশান্ত দেবনাথ।
কয়েকদিন আগেই মালদা সীমান্তে বিএসএফের হাতে গ্রেফতার হয় চিনা গুপ্তচর যান জানুই। ধৃত চিনা নাগরিক হান জানুই মালদা জেলা আদালতের নির্দেশে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতে আছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত হান জানুই কোনও সাধারণ ব্যক্তি নন। তাঁর কথায় একাধিক অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন, ধৃত ওই চিনা নাগরিক সাইবার বিশেষজ্ঞ। বেশ কিছু ব্যাঙ্কে প্রতারণার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, চিনা সামরিক বিভাগের কয়েকজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে হানের।
Comments are closed.