২০১৯-এর পর রাজ্যে বিজেপির উত্থান দলের অনেক নেতা ভালোভাবে মেনে নিতে পারেননি, বরখাস্তের পর বিস্ফোরক জয়প্রকাশ মজুমদার
সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে একহাত নিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। মঙ্গলবার তাঁর সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আরেক বিক্ষুব্ধ নেতা রীতেশ তিওয়ারি। এদিন দু’জনেই শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দেন। জয়প্রকাশ মজুমদারের বিস্ফোরক দাবি, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পর রাজ্যে বিজেপির যে উত্থান তা অনেক রাজ্য এবং কেন্দ্রের একাংশের নেতা মেনে নিতে পারেননি।
এদিন মূলত রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন জয়প্রকাশ। তাঁর কথায়, বর্তমান রাজ্য সভাপতি আড়াই বছর রাজনীতি করছেন। আর দলের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী দু’বছর রাজনীতিতে এসেছেন। জেলা সভাপতি নিয়োগ নিয়েও এদিন রাজ্য নেতৃত্বকে একহাত নেন তিনি। বলেন, অর্ধেকের বেশি জেলা সভাপতিকে জেলার লোক চেনেন না। যেভাবে যে প্রক্রিয়া এটা করা হয়েছে তার দায় এখন কেউ নিচ্ছে না।
সেই সঙ্গে তিনি আরও অভিযোগ করেন, এখানেই থামেননি জয়প্রকাশ। একুশের ভোটের আগে বিজেপির ‘যোগদান মেলা’ নিয়েও কড়া সমালোচনা করেছেন। বলেন, চার্টার্ড প্লেনে করে আসা নেতাদের টিকিট দেওয়া হয়েছে। বিজেপির নিচু তলার কর্মীরা এটা ভালোভাবে নেননি। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, ২০১৯ রাজ্যে বিজেপির এই উত্থানের পরেও কেন একুশের ভোটে এই অবস্থা হল, তা নিয়ে কোনও পর্যালোচনা হয়নি।
Comments are closed.