রাজ্যে উধাও শীত। শুক্রবার সকাল থেকে ঠান্ডা কার্যত উধাও। সেই সঙ্গে ভোররাত থেকে ঘন কুয়াশায় মুখ ঢাকল দক্ষিণবঙ্গ। কুয়াশার কারণে সকালে দৃশ্যমানতা অনেকটা কম থাকায় ট্রেন ও বিমান চলাচল ব্যাহত হয়।
কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস) স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি ছিল এদিন। শীতের তীব্রতা কমেছে গোটা দক্ষিণবঙ্গেই। আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার ভোরে হাল্কা কুয়াশা থাকবে। রাজ্যের কোথাও ঘন কুয়াশার সর্তকবার্তা নেই। তবে রবিবার থেকে দিন তিনেকের জন্য ফের শীতের আমেজ ফিরবে। কিন্তু পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে আবারও একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা আসছে। তাই আগামী বুধবার থেকে শীতের তীব্রতা কমতে শুরু করবে।
ভোরের দিকে কলকাতা বিমানবন্দর এলাকায় দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারে নেমে আসে। ভোর সাড়ে ৪টে থেকে সকাল প্রায় ৯টা পর্যন্ত বিমান চলাচল বিঘ্নিত হয়। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫টি বিমান দেরিতে ছাড়ে। ৮টি বিমানের অবতরণে দেরি হয়। ৭টি বিমানের গন্তব্য পরিবর্তন করতে হয়। ৪টি বিমান ওড়ার জন্য রানওয়েতে প্রস্তুত থাকলেও ফিরে আসতে হয়। বাগডোগরা যাওয়ার একটি বিমান ছাড়ার নির্ধারিত সময় ছিল সাড়ে ৫টা। যাত্রীরা বিমানে ওঠার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্ত ৫টা ২০ নাগাদ তাঁদের জানানো হয়, এখন বিমানটি ছাড়বে না।
ঘন কুয়াশার কারণে এদিন হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখায় অনেক লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেনে দেরিতে ছাড়ে এবং যাত্রাপথেও বেশি সময় লাগে।
Comments are closed.