এইচআইভি পজিটিভ, ‘ভুল’ রিপোর্টের ধাক্কায় মৃত্যু তরুণীর, দ্বিতীয় রিপোর্টে উল্লেখই নেই এইডসের! সিমলায় আলোড়ন

এক্টোপিক প্রেগেনেন্সির সমস্যা নিয়ে সিমলার এক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বছর ২২ এর এক তরুণী। স্বামীর সঙ্গে চিকিৎসকের কথোপকথনে শোনেন, তিনি এইডস আক্রান্ত। ডাক্তাররা ফের একবার পরীক্ষার কথাও বলেন। একথা শোনার পরেই প্রচণ্ড মানসিক আঘাত পান তরুণী, কোমায় চলে যান। পরের রিপোর্টে তাঁর এইচআইভি টেস্ট নেগেটিভ হলেও, তা আর শোনা হয়নি তরুণীর। আগেই মৃত্যু হয় তাঁর।

মঙ্গলবার এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে সিমলায়। তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর।
কিছুদিন আগে এক্টোপিক প্রেগনেন্সির সমস্যা নিয়ে রহুরুর সঞ্জীবনী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই তরুণী। হাসপাতাল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় সার্জারি করতে হবে। এরপর সেখান থেকে তাঁকে সিমলার কমলা নেহরু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেই সঙ্গে যে রিপোর্ট পাঠানো হয় তাতে বলা হয় তরুণী এইচআইভি আক্রান্ত। স্বামী ও চিকিৎসকের এই কথোপকথনই শুনে ফেলেন তরুণী। আর এতেই চরম মানসিক আঘাত পেয়ে কোমায় চলে যান। কিন্তু ওই রিপোর্টে পুরোপুরি ভরসা রাখতে পারেননি ডাক্তাররা। শিমলার কমলা নেহরু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা ফের একবার এইচআইভি পরীক্ষা করাতে বলেন। আইজিএমসি হাসপাতালে ফের একপ্রস্থ এইচআইভি টেস্ট করা হয়। পরীক্ষায় নিশ্চিত হয় তরুণীর এইচআইভি নেগেটিভ। যদিও তার আগেই মৃত্য হয়েছে তাঁর।

ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিধানসভায় বিষয়টি তোলে কংগ্রেস। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জানান, তদন্তে যদি প্রমাণিত হয়, সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতাল ভুল রিপোর্ট তৈরি করেছিল, তাহলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি মৃতার পরিবারকে আর্থিক সহায়তার কথাও ঘোষণা করেন তিনি।

Comments are closed.