মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি চেয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশে বারাণসী ঘাটের মতন গঙ্গা আরতি হোক বাংলার গঙ্গার ঘাটেও। সেই মতন হুগলির কোন্নগর বারো মন্দির ঘাটে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল গঙ্গা আরতি। কোন্নগর পুরসভার উদ্যোগে শুরু হল গঙ্গা আরতি। এবার থেকে রোজ গঙ্গা আরতি হবে ওই ঘাটে বলে জানা গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই কোন্নগর পুরসভার পক্ষ থেকে ঠিক হয় বারো মন্দির ঘাটে সন্ধ্যা আরতি হবে। সেই মতন সন্ধায় আরতির জাতগাও ঠিক করা হয়। নারকেল ফাটিয়ে, শঙ্খ, ঘণ্টা বাজিয়ে গঙ্গা পুজো করেছিলেন কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাস। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল আরতি। বারাণসীর ধাঁচে এই আরতি দেখে খুশি এলাকাবাসীরা। এদিন আরতি দেখতে ভিড় জমান অন্য জায়গা থেকে আসা মানুষ।
চেয়ারম্যান স্বপন দাস জানান, হরিদ্বারের মতো কোন্নগর বারো মন্দির ঘাটের নিরাপত্তা জোরদার করতে রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে। সাধারণ মানুষ যাতে গ্যালারিতে বসে আরতি দেখতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানান স্বপন দাস।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের আদলে কলকাতায় গঙ্গার ঘাটে সন্ধ্যারতির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সোমবার নবান্নে এক প্রশাসনিক বৈঠকে কলকাতা পুরসভাকে এই নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, উত্তর প্রদেশের মতো কলকাতাতেও গঙ্গার ঘাটে আরতির ব্যবস্থা করতে হবে। মানুষ যেন জলে না পড়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মন্দির আছে, বসে আরতি দেখা যায় এমন জায়গা খুঁজতে হবে। সঙ্গে তিনি বলেন, এব্যাপারে তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই। ২ বছর লাগে লাগুক। কিন্তু ব্যাপারটা যেন নিরাপদ হয়। এরপরেই কোন্নগর পুরসভা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আরতির ব্যবস্থা করল। হুগলির কোন্নগর বারো মন্দির ঘাটে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল গঙ্গা আরতি।
Comments are closed.