বনগাঁয় ফের ভাঙ্গন বিজেপিতে, ২ হাজারেরও বেশি নেতা-কর্মী যোগ দিলেন ঘাসফুল শিবিরে

বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস দল ছাড়ার পরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। উত্তর ২৪ পরগনায় বিজেপিতে বড়সড় ভাঙনের আশঙ্কা করছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে একঝাঁক বিজেপি নেতা কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে।

শুক্রবার প্রায় দু-তিন হাজার বিজেপি কর্মী এবং কয়েকজন স্থানীয় নেতৃত্ব তৃণমূলে যোগ দেন। বনগাঁ বাটার মোড়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে মিলন মেলার আয়জন করা হয়। মিলন মেলার মঞ্চে তৃণমূল বনগাঁ সাংগঠনিক জেলাত সভাপতি আলোরানি সরকারের উপস্থিতিতে প্রত্যেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন।

বিজেপি ত্যাগী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন, বনগাঁ পুর উত্তরের মন্ডল সভাপতি শোভন বৈদ্য, এবং জেলার সহ সভাপতি শর্মিষ্ঠা বর্ধন। এছাড়াও দলবদলুদের তালিকায় রয়েছেন, বনগাঁ পুর উত্তরের সম্পাদক এবং সাধারণ সম্পাদক।

দলত্যাগী নেতাদের মধ্যে অনেকেই আগে তৃণমূলে ছিলেন। পরে তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেন। তৃণমূলে ফিরে প্রত্যেকেই দাবি করেন বিজেপিতে কাজের পরিবেশ নেই। তাই তাঁরা তৃণমূলে ফিরেছেন।

সদ্য তৃণমূলে আসা বিজেপি নেত্রী শর্মিষ্ঠা বর্ধন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রাজ্যের যে উন্নয়ন করছেন তা অভূতপূর্ব। দিদির কাজে সামিল হবেন বলেই তৃণমূলে ফেরা।

বিজেপি যদিও দলবদলকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয়। বনগাঁর বিজেপি জেলা সহ সভাপতি বলেন, এঁদের বেশিরভাগই তৃণমূল থেকে এসেছিলেন। এখানে কিছু সুবিধা করতে পারছেন না তাই ক্ষমতার লোভে আবার তৃণমূলে ফিরে যাচ্ছেন। মানুষ এদের বিশ্বাস করে না।

সংখ্যাটা দু, তিন হাজার থেমে থাকবে না, এমনই দাবি বনগাঁর তৃণমূল জেলা সভাপতি আলোরানি সরকারের। তিনি বলেন, অজস্র নেতা কর্মী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেই সবাইকে দলে নেওয়া হবে।

Comments are closed.