দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মালদায় চালু হতে চলেছে বিমান পরিষেবা, কলকাতার সঙ্গে আকাশ পথে জুড়বে কোচবিহার, মালদা

মালদাবাসীর জনয় সুখবর। মালদায় চালু হতে চলেছে বিমান পরিষেবা। ১৯ আসনের সেই বিমানে মালদা থেকে কোচবিহার, কলকাতাকে যুক্ত করা হবে।
ইতিমধ্যেই তৈরি মালদার রানওয়ে। এবার টার্মিনাল, অ্যাপ্রোচ রোড, পার্কিং এরিয়াসহ কিছু পরিকাঠামো তৈরির প্রস্তাব যাচ্ছে কেন্দ্রের কাছে। দিল্লি ১১ কোটি টাকা মঞ্জুর করলেই শুরু হবে কাজ। মালদা বিমানবন্দর চালু করতে প্রয়োজনীয় টাকা দিতে দিল্লি আগ্রহী। গত সেপ্টেম্বরেই দিল্লির বিমান মন্ত্রক রাজ্যকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠাতে।

দেশের ছোট ছোট বিমানবন্দর থেকে নিয়মিত যাত্রী–উড়ান চালাতে কেন্দ্রীয় সরকার আরসিএস (রিজিওনাল কানেক্টিভিটি স্কিম) চালু করেছে। সেই প্রকল্পে সম্প্রতি জুড়ে নেওয়া হয়েছে মালদাকে। ফলে, সেখানকার পরিকাঠামোর খরচ বহন করবে কেন্দ্রই। তা ছাড়াও যে সংস্থা মালদা থেকে নিয়মিত উড়ান পরিষেবা চালাবে, তারা কেন্দ্রের থেকে ভর্তুকিও পাবে।
মালদার বিমানবন্দরটি চালু করার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী মহলের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে। প্রশাসনও মনে করছে, মালদা বিমানবন্দর চালু হলে আশপাশের দক্ষিণ ও উত্তর দিনাজপুর এবং মুর্শিদাবাদের মানুষ উপকৃত হবেন।

যদিও বিমানবন্দর চালু করতে এখনও বেশ কয়েকটি ‘হার্ডল’ পেরোতে হবে। প্রথমত, বিমানবন্দরের পূর্ব প্রান্তে রেলস্টেশন। তার মাথার উপরে হাই–টেনশন লাইন রয়েছে। ফলে পূর্ব থেকে পশ্চিমে বিস্তৃত রানওয়ের পশ্চিম দিক থেকেই একমাত্র নামাওঠা করতে পারবে বিমান। দ্বিতীয়ত, বিমান নামার ক্ষেত্রে আধুনিক ইনস্ট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম সেখানে বসানোর মতো পরিকাঠামো নেই। তাই, আকাশে পাঁচ কিলোমিটার উপর থেকে রানওয়ে পরিষ্কার দেখতে পেলে তবেই বিমান নিয়ে নামতে পারবেন পাইলট। এ কারণে, নিয়মিত আবহাওয়া দপ্তরের সঙ্গেও যোগাযোগে থাকতে হবে বিমানবন্দরের অফিসারদের।

আপাতত রাজ্যের কোচবিহার এবং দুর্গাপুরের অন্ডাল বিমানবন্দর রয়েছে এই আরসিএস–এর আওতায়। কোচবিহার থেকে ভর্তুকিতে ৯ আসনের বিমান চালাচ্ছে একটি সংস্থা। অন্ডাল থেকে চেন্নাই–মুম্বই–দিল্লিতে নিয়মিত উড়ান চলছে।

Comments are closed.