ঝাড়গ্রামের পর পুরুলিয়ায় প্রবেশ করল বাঘিনি জিনাত, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ

ঝাড়গ্রামের পর এবার পুরুলিয়ার বান্দোয়ান। বাঘিনি জিনাতের গতিবিধিতে নাজেহাল বন দপ্তর। ভয়ে কাঁটা সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন ধরেই দেওয়া হচ্ছে টোপ। কিছুতেই টোপ গিলছে না জিনাত।

ঝাড়গ্রামের বাসিন্দাদের ঘুম উড়িয়ে এবার পুরুলিয়ায় প্রবেশ করল বাঘিনি জিনাত। বনদপ্তর সূত্রে খবর, শনিবার গভীর রাতেই পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের রাইকার জঙ্গলে প্রবেশ করেছে জিনাত। তাকে খাঁচাবন্দি করতে সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বনকর্মীরা। বাঘিনির গলায় রেডিও কলার থাকলেও তার বিচরণক্ষেত্রের অধিকাংশ এলাকাই সেডো জোনের আওতায়। ইন্টারনেট পরিষেবা কাজ করছে না। ফলে তাকে খুঁজতে দম ছুটছে বনকর্মীদের।
শনিবার গভীর রাতেই বেলপাহাড়ী জঙ্গল ছেড়েছে বাঘিনি। পুরুলিয়ার কংসাবতী সাউথ ডিভিশনের ডিএফও বলেন, বাঘটি ঝাড়গ্রাম থেকে পুরুলিয়ায় প্রবেশ করেছে। তবে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।

বনদপ্তরের তরফে বাঘিনিকে ধরতে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে।
নভেম্বরের শেষ দিকে ওড়িশার সিমলিপাল টাইগার রিজ়ার্ভের মুক্ত জঙ্গল থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পার করে ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়ার জঙ্গল এলাকায় এসে পৌঁছয় জিনাত। ঝাড়খণ্ড চষে গত শুক্রবার ভোরে ঝাড়খণ্ড-বাংলা সীমান্তবর্তী ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ীর জঙ্গলে সে প্রবেশ করে। সেখানকার বাসিন্দাদের আতঙ্কে রেখেই এবার জিনাত বান্দোয়ানে।
বনদপ্তর সূত্রের খবর, রেডিও কলার থেকে পাওয়া সিগন্যালে শুক্রবার বেলপাহাড়ী এলাকার কচুটুয়ার জঙ্গলে বাঘিনির গতিবিধি নজরে এসেছিল বনদপ্তরের। তারপর ভুলাভেদার জঙ্গলে প্রবেশ করে। রাতের দিকে ভুলাভেদা রেঞ্জের কাঁকড়াঝোড় এলাকায় জিনাতের গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। শনিবার গভীর রাতে ময়ূরঝর্ণার জঙ্গল পেরিয়ে পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ানের রাইকার জঙ্গলে ঢুকে পড়ে সে।

Comments are closed.