আইটি সেক্টরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক্স প্রশিক্ষিতদের বিপুল চাহিদা, ২০২০ তে চাকরি হবে প্রায় ৬০ হাজার
দেশের বিভিন্ন কর্পোরেট ও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় বাড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI Jobs), রোবটিকস, ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং ইত্যদি নয়া প্রযুক্তি বিশারদ ও প্রশিক্ষিতদের চাহিদা। নতুন বছরে এঁদেরই কর্পোরেট ও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি নিয়োগ করতে চলেছে।
বিশ্বজুড়ে মন্দা, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে ব্যয় বৃদ্ধি সহ ব্যবসায় একাধিক প্রতিবন্ধকতার পরিবেশের মধ্যে কর্মীসংখ্যা কমিয়ে মেশিন নির্ভরতায় আরও জোর দেওয়া হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, ন্যাচারাল ল্যাঙ্গোয়েজ প্রসেসিং, রোবটিকস, ব্লকচেন ইত্যাদি আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। তাই তথ্যপ্রযুক্তি কিংবা কর্পোরেট সংস্থাগুলিতে চিরাচরিত কর্মীদের চেয়ে নয়া প্রযুক্তিতে পারদর্শী ‘ফ্রেশার্স’-দের চাহিদা তুঙ্গে। ২০২০ সালের প্রথম ভাগেই ভারতে এমন ৬০ হাজারের বেশি কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে বিভিন্ন সংস্থা। এঁদের মধ্যে ডেটা অ্যানালিসিস, এডব্লিউএস, ডেটা সায়েন্স, এমএল , এনএলপি, ডেটা ভিজুইলাইজেশন, আইওটি, এআই ইত্যাদি বিষয়ে যাঁরা দক্ষ, তাঁদেরই বড় অঙ্কের পারিশ্রমিক দিয়ে নিয়োগ করা হবে বলে খবর। নতুন, মধ্য এবং সিনিয়র-এই তিন বিভাগের কর্মীদের বছরে সর্বনিম্ন ৩ লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা বেতন দিতে চলেছে বিভিন্ন সংস্থা।
ইংরেজি দৈনিক দ্য ইকনমিক টাইমস সূত্রে খবর, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI Jobs) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে যাঁরা অভিজ্ঞ তাঁদের জন্য বিভিন্ন সংস্থায় ৫২০ টি পদ খালি রয়েছে। তাছাড়া ডেটা সায়েন্স, এডবিউএস, অ্যানালিটিক্স-এ এঁদের কাজের পরিধি ব্যাপকভাবে বাড়ছে। Accenture, Capgemini, IBM, Dell, NVDIA -এর মতো সংস্থায় এঁদের বছরে বেতন দেওয়া হবে ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিতে যাঁদের শিক্ষা রয়েছে কিন্তু অভিজ্ঞতা নেই, এমন ফ্রেশার্সদের জন্যও ৪,৫০০ টি পদ খালি রয়েছে।
যে কগনিজেন্ট খরচ কমানোর জন্য প্রায় সাড়ে তিনশো পদস্থ কর্মীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারাও ২০২০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ কর্মী নেবে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে। সেখানে অবশ্যই যাচাই করে নেওয়া হবে নতুন প্রযুক্তিতে কতটা সড়গড় তাঁরা।
Comments are closed.