লালু প্রসাদের মামলায় একযোগে কাজ করেছেন আস্থানা, বিজেপি নেতা সুশীল মোদী এবং পিএমও, চাঞ্চল্যকর দাবি অলোক ভার্মার

আরজেডি নেতা ও বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে আইআরসিটিসি দুর্নীতি মামলায় জেলে পাঠাতে সিবিআই-এর ডেপুটি ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং বিহারের বিজেপি নেতা সুশীল মোদী একত্রে যোগসাজশ করেছেন বলে অপসারিত সিবিআই প্রধান অলোক ভার্মার চাঞ্চল্যকর দাবি প্রকাশিত হয়েছে নিউজ পোর্টাল ‘দ্য ওয়্যার’-এ।
‘দ্য ওয়্যার’ নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনের (সিভিসি) প্রশ্নের জাবাব একথা জানিয়েছেন অলোক ভার্মা। প্রসঙ্গত, জেলবন্দি লালুপ্রসাদ যাদব এখন রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সে চিকিৎসাধীন। চলতি বছর সেপ্টেম্বরেই পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির চতুর্থ মামলায় লালুপ্রসাদকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত। এই মুহূর্তে লালু গভীর মানসিক অবসাদে ভুগছেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়েই লালুর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি লালু রেলমন্ত্রী থাকার সময়ও আইআরসিটিসিতে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
‘দ্য ওয়্যার’ এ প্রকাশিত খবর, এই আইআরসিটিসি তদন্তের বিষয়ে সিভিসি ভার্মাকে কিছু নির্দিষ্ট প্রশ্ন করে। তার উত্তরে ভার্মা জানান, সিবিআই-এর তখনকার এডি রাকেশ আস্থানা, বিহারের বিজেপি নেতা সুশীল মোদী এবং পিএমওর একজন শীর্ষ কর্তা ওই মামলায় ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। তাঁরা মিলে তদন্তকে প্রভাবিত করেন।
সূত্রের খবর, সিভিসি ভার্মার কাছে জানতে চায়, কেন আইআরসিটিসির পরিচালক রাকেশ সাক্সেনাকে তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, যিনি অভিযুক্ত হিসাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক ছিলেন। ভার্মা বলেন, সাক্সেনার নাম অন্তর্ভুক্ত না করা তদন্তের তত্ত্বাবধানকারী কর্তাদের ব্যাপার। নিয়মিত মামলায় মনোজ আগরওয়াল ও এস কে নায়েকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছিল সিবিআই।
অন্য আর এক প্রশ্নের জবাবে, সিবিআই-এর অপসারিত প্রধান আরও বলেন, ফাইল নোটে স্পষ্ট যে, পাটনায় তদন্তকারী অফিসারও বুঝেছিলেন যে সাক্সেনার বিরুদ্ধে মামলা যথেষ্ট প্রমাণিত হয়নি, কিন্তু তত্ত্বাবধানকারী কর্তারা তাঁর পর্যবেক্ষণ বাতিল করে দেন। ‘দ্য ওয়্যার’এর দাবি, এছাড়াও ভার্মা বলেছেন, সিবিআই-এর পরিচালক ভয় পেয়েছিলেন যে, উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের বাড়িতে অনুসন্ধানের ফলে বিহারে আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই তিনি প্রধানমন্ত্রীর অফিসে শীর্ষ এক কর্তার সঙ্গে তদন্তের সময় ক্রমাগত যোগাযোগ করে উদ্বেগ প্রকাশ করছিলেন।
‘দ্য ওয়্যার-এর খবর অনুযায়ী, ভার্মা নাকি বলেছেন, সিভিসি যদি এই ঘটনাগুলি যাচাই করতে চায়, তবে তিনি কমিশনকে পিএমও’র সিনিয়র অফিসার এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের নাম জানাবেন।

Comments are closed.