“বেদের মেয়ে জোসনা” খ্যাত অভিনেত্রী অঞ্জু ঘোষের জন্ম পরিচয় নিয়ে আজও থেকে গিয়েছে বিতর্ক!

‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ছবিটির নাম শোনেননি এরকম মানুষ হয়ত কমই আছেন। এই ছবির নামই যথেষ্ট, আলাদা করে বুঝিয়ে দেওয়া প্রয়োজন হয় না। আজকের দিনের ইয়াং জেনারেশন এই ছবি নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করলেও ছবিটি যখন বেরিয়েছিল তখন ভালই চলেছিল। ১৯৯১ সালে রিমেক ও করা হয় এই ছবির।
অঞ্জু ঘোষ এই ছবির হাত ধরেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে ওঠেন। বলিউডের পাশাপাশি টলিউডেও তাঁকে নিয়ে শুরু হয়

আদরের বোন, রাজার মেয়ে পারুল, বেদিনীর প্রেম, স্ত্রীর মর্যাদা প্রভৃতি ছবিতে তিনি সসম্মানে কাজ করেছেন। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, চরিঞ্জিৎ চক্রবর্তী, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, তাপস পাল, প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিভিন্ন ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তার জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল টলিউডে যে তিনি পাকাপাকিভাবে কলকাতায় থাকতে শুরু করেন কাজের সূত্রে। এরপর হঠাৎই একদিন কাজের জগৎ থেকে বিদায় নেন তিনি।

কিন্তু সমস্যা টা তৈরি হয় ২০১৯ সালে যখন তিনি BJP যোগদান করেন। অঞ্জু ঘোষের নাগরিকত্ব নিয়ে উঠতে থাকে একাধিক প্রশ্ন। পৌরসভায় সার্টিফিকেট কে ঘিরে ও রহস্য তৈরি হয়। অন্যদিকে তার কাছে ভারতের পাসপোর্ট আছে এরূপ প্রমাণ দিলীপ ঘোষ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেও নানা রকম সংশয় থেকেই যায় তার কারণ অঞ্জু ঘোষ নিজেই স্বীকার করেছিলেন তার ফরিদপুরে জন্ম হওয়ার কথা।

এক টিভি শো তে তিনি নিজেই জানান যে পরবর্তীকালে তিনি চিটাগং এ থাকতেন। চিট্টাগংয়ের কৃষ্ণকুমারী উচ্চবিদ্যালয় তাঁর পড়াশোনা। অন্যদিকে কলকাতা পৌরসভার সার্টিফিকেটে লেখা তিনি কলকাতার ইস্ট এন্ড নার্সিং হোমে তাঁর জন্ম হয়েছে। সুতরাং এই জন্ম নিয়ে বিতর্ক যে এখনো পিছু ছারেনি তা বেশ ভালই বোঝা যাচ্ছে।

Comments are closed.