আর জি কর হাসপাতালে রক্তমাখা সার্জিকাল গ্লাভসের রহস্যে ইতি পড়ল। হাসপাতালের ল্যাবরটরিতে পরীক্ষার পরে জানা গিয়েছে, গ্লাভসের লাল দাগ রক্তের নয়। তবে লাল দাগ কীসের তা সঠিকভাবে জানার জন্য অন্য পরীক্ষাও করা হবে। অক্টোবর মাসের গোড়ায় এই গ্লাভসগুলি চোখে পড়েছিল এক ইন্টার্নের। তারপর সেই অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়। অভিযোগ ওঠে, রক্তমাখা গ্লাভস ব্যবহার হচ্ছে হাসপাতালে। পথে নামে সিপিএম সহ বিরোধী দলগুলি।
জুনিয়র ডাক্তারের ধর্ষণ ও মৃত্যু কাণ্ডের পাশাপাশি স্বাস্থ্যব্যবস্থার গাফিলতি হিসেবেও এই ঘটনাকে উল্লেখ করে শুরু হয় বিক্ষোভ। আর জি কর হাসপাতালে রক্তমাখা গ্লাভসের খবর জানাজানি হওয়ার পরে আগে থেকেই চলা আন্দোলনের আগুনে ঘি পড়ে। জুনিয়র ডাক্তাররাও বিষয়টিকে আন্দোলনের ইস্যু করেন। তারপর সেগুলিকে ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। চলে ওই নমুনার বেঞ্জিডিন পরীক্ষা। তাতেই জানা যায়, ওই গ্লাভসের দাগ রক্তের নয়।
তাতে রক্ত থাকলে বেঞ্জিডিন পরীক্ষায় তা পজিটিভ আসে। এক্ষেত্রে রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ। এই গ্লাভসগুলি কোথা থেকে এল, সেটা জানার জন্যও তদন্তও চলছে। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, গ্লাভসে কিছু রাসায়নিক দিতে হয়, সেগুলির আয়ু বাড়ানোর জন্য। সেগুলি একটি জায়গায় জমেও এমন দাগ সৃষ্টি করতে পারে। যদিও, ওটি আসলে কী ছিল, তা আরও পরীক্ষার পরেই নিশ্চিতভাবে জানা সম্ভব হবে।
Comments are closed.