মাটির আর্দ্রতা বুঝতে স্বয়ংক্রিয় জলসেচের জন্য সেন্সর বানালেন বাঁকুড়া উন্নয়নী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক-পড়ুয়ারা।
বাঁকুড়া,পুরুলিয়া বা পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় এমনিতেই কম। তাই প্রতি বছর ফসল উৎপাদন নিয়ে কৃষকদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ থেকেই যায়। কৃ্ষকদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে বাঁকুড়া উন্নয়নী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অ্যাপ্লায়েড ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্সট্রুমেনটেশন বিভাগের অধ্যাপক ও পড়ুয়ারা বানিয়ে ফেলেছেন এক বিশেষ ডিভাইস ‘ময়েশ্চার সেন্সর’। ফসল ফলনের জন্য মাটির আর্দ্রতার পরিমাণ নির্ধারন করে দেবে এই সেন্সর। এই সেন্সরটি আগে থেকেই জানিয়ে দেবে সেই দিনের আর্দ্রতা কত। ফসলের চাষ করতে জমিতে সংশ্লিষ্ট দিনটির জন্য কতটা জলের দরকার। ওই ডিভাইসটি যুক্ত থাকবে জল সেচের পাম্পের সঙ্গে। সেন্সর জানান দিলেই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জল সেচ শুরু হয়ে যাবে।
অ্যাপ্লায়েড ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্সট্রুমেনটেশন বিভাগের অধ্যাপক শান্তনু হোড় জানালেন, তাঁরা যে সেন্সরটি বানিয়েছেন তার ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জল সেচ করা সম্ভব হবে। মাটিতে আর্দ্রতার পরিমাণ জানিয়ে দেবে ‘ময়েশ্চার সেন্সর’। বাঁকুড়া উন্নয়নী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যাপকদের কথায়, তাঁদের উদ্ভাবিত এই ডিভাইসটির মাধ্যমে মূলত তিনভাবে উপকৃত হবেন কৃ্ষকরা। প্রথমত, সময়ের অপচয় হবে না, দ্বিতীয়ত, জলের অপচয় এবং শ্রমিকের খরচ বাঁচানো যাবে। আগামী দিনে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও এই ‘ময়েশ্চার সেন্সর’ আনার পরিকল্পনা রয়েছে বাঁকুড়ার এই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটির। সেক্ষেত্রে দূরবর্তী জমির ক্ষেত্রেও কৃষক আরও বেশি উপকৃত হবেন। বাণিজ্যিকভাবে এই ডিভাইসটির প্রাথমিক মূল্য ধার্য করা হয়েছে এক থেকে দেড় হাজার টাকার মধ্যে। আপাতত বাঁকুড়া উন্নয়নী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের সরকারের কাছে আবেদন, এই ময়েশ্চার সেন্সরকে তাড়াতাড়ি সরকারি উদ্যোগে বাজারজাত করা গেলে এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন দক্ষিণবঙ্গের কৃষিজীবী মানুষ।