মোহনবাগানকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বেইতিয়া, ডুরান্ড সেমি-ফাইনালে এই স্প্যানিশ ফুটবলারের দিকে তাকিয়ে সবুজ-মেরুন শিবির
গত মরসুম থেকেই ময়দানে স্পেনের ছোঁয়া। ইস্টবেঙ্গল নিয়ে এসেছিল স্প্যানিশ কোচ এবং ফুটবলারদের। এবার সেই রাস্তাতেই হেঁটেছে মোহনবাগানও। স্প্যানিশ কোচ কিবু ভিকুনার সঙ্গে মোহনবাগান সই করিয়েছে চার স্প্যানিশ ফুটবলারকে। এদের মধ্যে সবথেকে বেশি নজর কেড়েছেন মিডফিল্ডার জোসেবা বেইতিয়া।
এখনও পর্যন্ত মোহনবাগান যে কটা ম্যাচ খেলেছে, তাতে দলের পারফরমেন্সে খুব একটা খুশি নন সর্মথকরা। স্প্যানিশ ফুটবলারদের পারফরমেন্সও আতস কাচের নিচে। এই পরিস্থিতিতেও টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে সমর্থক সবাই একটা কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন, চোট আঘাত না পেলে এই মরসুমে মোহনবাগানকে স্বপ্ন দেখাবেন বেইতিয়া।
ইনিয়েস্তার ভক্ত এই মোহনবাগান ফুটবলার মাঝমাঠে ফুল ফোটানোর চেষ্টায়। যুবভারতীর সবুজ গালিচার মতো মাঠে যেমন দৃষ্টিনন্দন ফুটবল খেলছেন, ঠিক তেমনই মোহনবাগানের কাদামাঠেও খেলা তৈরি করার চেষ্টা করছেন।
অবলীলায় প্রতিপক্ষের দু’তিন জন ফুটবলারকে ড্রিবল করতে পারেন বেইতিয়া। ভুল পাস খুব কম বাড়ান। এখনও পর্যন্ত মোহনবাগান যতটুকু আক্রমণ রচনা করতে পেরেছে, পিছনে ছিল বেইতিয়া অবদান। মূলত ডান পায়ের ফুটবলার। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার এবং ডান প্রান্ত দিয়ে যথেষ্ট স্বচ্ছন্দ।
সেট পিসেও তার মুন্সিয়ানা নজর করার মতো। মোহনবাগান কর্ণার বা ফ্রিকিক পেলে মারতে যাচ্ছেন তিনি। মোহনবাগানের এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার জানিয়েছেন, ইনিয়েস্তা, মড্রিচদের দেখে সেট পিস মারার নৈপুণ্য বাড়ানোর চেষ্টা করেন। মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনার কোচিংয়ে এর আগে কখনও খেলেননি। প্রতিপক্ষ দলে খেলেছেন। তখনই নজরে পড়েন কিবুর। তাই মোহনবাগানের দায়িত্ব পেয়ে তড়িঘড়ি বেইতিয়ার এজেন্টের সঙ্গে কথা বলেন কিবু। কলকাতায় এসে বেশ খুশি বেইতিয়া। অবসর সময়ে ঘুরতে ভালোবাসেন। ভিক্টোরিয়া, ধর্মতলা চত্বর ইতিমধ্যেই ঘুরে ফেলেছেন। ভালবাসেন সিনেমা দেখতে। সতীর্থদের সঙ্গে কফি শপে সময় কাটাতে।
কলকাতা লিগের শেষ ম্যাচে কাস্টমসের বিরুদ্ধে চোট পেয়েছিলেন তিনি। চিন্তার কালো মেঘ নেমে এসেছিল মোহনবাগানের উপর। তবে বুধবার ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে খেলতে মরিয়া তিনি। রবিবার দলের বাকিদের সঙ্গে অনুশীলনও করেন।
Comments are closed.