বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সহ সভাপতি রাজু সরকারের মৃত্যুতে মঙ্গলবার অস্বাভিক মৃত্যুর মামলা রুজু করল হেস্টিংস থানার পুলিশ।
পুলিশে সূত্রে খবর, রাজু সরকারকে অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অ্যাপোলো হাসপাতালের তরফেই হেস্টিংস থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। যেহেতু রাজুকে হেস্টিংসের দলীয় কার্যলয় থেকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
ইতিমধ্যেই পুলিশ এই ঘটনায় বিজপি নেতা প্রতাপ ব্যানার্জি সহ ১০ জনের বয়ান রেকর্ড করেছেন। ঘটনার সময় হেস্টিংসের পার্টি অফিসের ফুটেজও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। রাজু পোস্টমর্টেম রিপোর্ট সামনে এলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে ধারণ মিলবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য সোমবার বিজেপির যুব মোর্চার কার্যকারিণী বৈঠক ছিল হেস্টিংসের পার্টি অফিসে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁও উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
জানা যাচ্ছে, বৈঠক শেষে যুব মোর্চার সদস্য অভিজিৎ গুঁইও সাথে তীব্র বাদানুবাদ জড়িয়ে পড়েন রাজু। বচসা চলাকালীন হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তীব্র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। হাতাহাতি চলাকালীনই জ্ঞান হারান রাজু।
অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে অ্যাপোলো হাসপাতাল। অ্যাপোলোতে রাজুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
যদিও হাতাহাতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, রাজুর হৃদ রোগের সমস্যা ছিল। চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
সব মিলিয়ে মুকুল ঘিনষ্ঠ বলে পরিচিত রাজু সরকারের মৃত্যুতে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
Comments are closed.