শোভন-বৈশাখীর পদ্ম-ত্যাগের নেপথ্যে কী? রাতারাতি আলোচনায় নির্দল!
শুধু বেহালা পূর্ব নয়, একদা মমতা ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের প্রাক্তন হেভিওয়েট নেতার নামই নেই বিজেপির প্রার্থী তালিকায়
৫ মার্চ তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় অন্যতম চমকটির নাম ছিল রত্না চ্যাটার্জী। স্ত্রী রত্না চ্যাটার্জির নাম বেহালা পূর্বে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হওয়ার পরেই, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা মন্ত্রী শোভন চ্যাটার্জির প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল তিনি বিজেপি নেতৃত্বকে বলবেন বেহালা পূর্ব থেকে রত্নার বিরুদ্ধে যেন তাঁকে প্রার্থী করা হয়।
১৯৮৫ সাল থেকে বেহালা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত একটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শোভন চ্যাটার্জি। ২০১০ সালে কলকাতার মেয়র, ২০১৬ সালে মন্ত্রী। ১৪ মার্চ বিজেপির প্রার্থী তালিকায় দেখা গেল বেহালা পূর্ব থেকে দল প্রার্থী করেছে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেতা পায়েল সরকারকে। শুধু বেহালা পূর্ব নয়, একদা মমতা ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের প্রাক্তন হেভিওয়েট নেতার নামই নেই বিজেপির প্রার্থী তালিকায়। এই ঘটনায় শোভনের বন্ধু বৈশাখী ব্যানার্জি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। ফেসবুক পোস্ট-এ আদর্শ শোভনকে উদ্দেশ্য করে বৈশাখীর বার্তা, আপনি আমার অনুপ্রেরণা। কোনও রকম বিশ্বাসঘাতকতা, ষড়যন্ত্র আমাদের আটকাতে পারবে না। বেহালা পূর্বের মানুষ আপনাকে ভালোবাসে, এটাই আপনার শক্তি। ফেসবুক পোস্টের পাশাপাশি শোভন, বৈশাখী ইতিমধ্যেই বিজেপি ছাড়ছেন জানিয়ে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে চিঠিও পাঠিয়ে দিয়েছেন।
বৈশাখীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরে তৃণমূলের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দিয়েছিল মমতা ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র শোভন চ্যাটার্জির। বহু জল্পনার পর তৃণমূলের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক ছিন্ন করে ২২ নভেম্বর ২০১৮ কলকাতার মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেন। ১৪ আগস্ট ২০১৯ এ যোগ দেন বিজেপিতে। কিন্তু বিজেপিতে শোভন, বৈশাখীর যাত্রা এক বছরের মধ্যেই শেষের পথে। রাজ্য রাজনীতিতে চর্চিত এই জুটির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে জল্পনা। তবে কী বেহালা পূর্ব থেকে নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়ছেন মমতার স্নেহের কানন?
Comments are closed.