তৃণমূলের “B-টিম” হবে না বিজেপি, শাহের নির্দেশে বঙ্গে দলত্যাগীদের নেওয়ায় রাশ, জানালেন বিজয়বর্গীয়
আদি-নব্যের লড়াই বঙ্গ বিজেপিতে, আপাতত বন্ধ বিজেপির দরজা
বিজেপিকে তৃণমূলের “বি টিম” হওয়া আটকাতে এবার দলত্যাগী অবাধ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন অমিত শাহ। বিজেপির অন্দরে চলছে আদি-নব্যের লড়াই। এরমধ্যেই তৃণমূল সহ বিভিন্ন দল থেকে পদ্ম শিবিরে যোগদানে রাশ টেনে ধরল রাজ্য বিজেপি। ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে বিজেপিতে যোগদান মেলার পরই এই সিদ্ধান্ত বিজেপির।
বাংলার দায়িত্বে থাকা বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় স্বীকার করে নিয়েছেন পার্টির এই সিদ্ধান্তের কথা। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপি কোনওভাবেই তৃণমূলের “বি টিম” হবেনা।
তাঁর দাবি, আরও ৪০ জনের বেশি বিধায়ক বিজেপিতে যোগদানের জন্য পা বাড়িয়ে রয়েছেন। নিজেদের এলাকায় কতটা উন্নয়ন করেছেন এই বিধায়করা। সমীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানান কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
বালি-কয়লা-গরু কেলেঙ্কারির মতন অভিযোগ থাকলে তাদের ঠাঁই আর গেরুয়া শিবিরে নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা বিজেপিতে যোগদানের পরেই পদ্ম শিবিরে আদি-নব্যের লড়াই প্রকাশ্যে এসেছে। পূর্ব বর্ধমানের পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা এর মধ্যে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বকে প্রকাশ্যে এনেছে। সোনারপুরে দিলীপ ঘোষের সামনে দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে।
সূত্রের খবর, একটি আসনের জন্য ৩০ থেকে ৫০ জনের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর ফের একবার অন্তর্দ্বন্দ্বের আশঙ্কা করছে বঙ্গ বিজেপি। সেইকারণেই দলবদলুদের বিজেপিতে যোগদানের খেলা বন্ধ করতে চাইছেন তাঁরা। এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এখন থেকে চাইলেই কেউ বিজেপিতে আসতে পারবেন না। জেলা বিজেপি নেতৃত্বের থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) নিয়ে তবেই যোগদান করানো হবে।’
Comments are closed.