নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে কি উভয়সঙ্কটে বিজেপি? CAA কার্যকর করার দাবিতে এবার বিশাল সমাবেশ করল মতুয়া মহাসঙ্ঘ। নদীয়ার বগুলার সভা থেকে কেন্দ্রের কাছে সিএএ কার্যকরের সময় জিজ্ঞাসা করেন মতুয়া মহাসভার নেতৃত্ব। সমাবেশের আগে মিছিলও করেন সঙ্ঘাধিপতি তথা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।
বেশ কয়েকমাস হল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগেই অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা বাংলায় সিএএ কার্যকরের কথা বলেছেন ঠিকই কিন্তু তাতে ভরসা রাখতে পারছে না বিজেপির সমর্থনপুষ্ট সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসঙ্ঘ। বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেন, আমরা আগেও কেন্দ্রের কাছে এ নিয়ে জানতে চেয়েছি। এবার এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।
এদিকে সিএএ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে মতুয়া সম্প্রদায়ের একাংশের মধ্যে। আইন পাশ হলেও তা কবে কার্যকর কবে হবে এ নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ছেন বিজেপি নেতারা। যা বিজেপির অস্বস্তি বাড়াবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মতুয়া মহাসঙ্ঘের এক নেতার কথায়, ২০১৯ লোকসভার ভোটে মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁ ও রানাঘাট লোকসভা আসনে বিজেপির জয়ের বড় ইস্যু ছিল সিএএ। তারপর থেকে সব চুপচাপ। এখন তা কার্যকরের সময়সীমা বেঁধে দিতে হবে।
এদিকে সম্প্রতি মতুয়া ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের জন্য ১০ কোটি টাকার অনুদান ও মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের পাট্টা বিলির কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এতে দেড় লক্ষ মতুয়া পরিবার জমির অধিকার পাবেন বলে দাবি তৃণমূলের। এদিকে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের দাবি, একমাত্র সিএএ কার্যকরের মাধ্যমেই উদ্বাস্তু সমস্যার প্রকৃত সমাধান হতে পারে। পাট্টা বিলির মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। কিন্তু কবে সিএএ কার্যকর হবে, সেই প্রশ্নের জবাব নেই বিজেপি সাংসদের কাছে। এদিকে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র সাফ জানিয়েছেন, তাঁরা ক্ষমতায় থাকতে বাংলায় সিএএ কার্যকর হবে না।
কিছুদিন আগেই বনগাঁর বিজেপি সাংসদ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, সিএএ দ্রুত তা কার্যকরী করা না হলে তিনি দল ত্যাগ করবেন। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিও লিখেছিলেন তিনি। শান্তনু ঠাকুরের কথায়, নাগরিকত্ব আইন পাশ করালেই সমস্যা মিটে যায় না। উদ্বিগ্ন মতুয়াদের নাগরিকত্ব যদি না দেওয়া যায় তাহলে আইন করে কী লাভ হল?
Comments are closed.