বেনিয়মের অভিযোগে অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার অফিসে সিবিআই হানা, মানুষের অধিকার নিয়ে সরব, তাই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ,পাল্টা অভিযোগ

মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার বেঙ্গালুরু ও দিল্লির অফিসে হানা দিল সিবিআই। অভিযোগ, বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত নীতি লঙ্ঘন করে অনুদান নিয়েছে ওই সংস্থা। এই অভিযোগে বেঙ্গালরুর দুটি জায়গায় এবং দিল্লির একটি অফিসে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল।
সিবিআই জানায়, গত ৯ নভেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, ইন্ডিয়ানস ফর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ট্রাস্ট, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট ইত্যাদি সংস্থার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের হয়।
সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) অ্যাক্ট, ২০১০ এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির নির্দিষ্ট আইন লঙ্ঘন করে বিদেশ থেকে অনুদান গ্রহণ করেছে তারা। যদিও কেন্দ্রের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া। তাদের পাল্টা অভিযোগ, দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক ঘটনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য এইভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে অ্যামনেস্টি জানায়, যখনই এ দেশে মানুষের অধিকার নিয়ে তারা আওয়াজ তুলেছে, তখনই হেনস্থার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। গত একবছর ধরে এই ধরনের ঘটনা বেড়েছে। তাদের আরও দাবি, ভারত ও আন্তর্জাতিক আইন ও সীমারেখা মেনেই নিজেদের কাজ করছে তারা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারত হোক বা বিশ্বের যে কোনও দেশ, অ্যামনেস্টি মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করে।
যদিও গত কয়েকবছর ধরেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির কড়া নজরে রয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া। তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার বিদেশি বিনিয়োগ নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সিবিআই হানার পরিপ্রেক্ষিতে অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার প্রধান আকসর প্যাটেল জানান, তদন্তে সবরকম সহায়তা করছেন তাঁরা।
গত কয়েক বছর ধরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির কার্যকলাপের উপর নজরদারি চালাচ্ছে। একাধিক সংস্থার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে আর্থিক অনুদান নেওয়ার অভিযোগ এনে লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। গত বছরই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গ্রিনপিস ও অ্যামনেস্টির অফিসে ইডি অফিসাররা হানা দেন।

Comments are closed.