তৃণমূল: বাংলা দখল দিবাস্বপ্ন, লোকসভায় ১৮ আসন বিধানসভায় প্রতিফলিত হবে না

বিভিন্ন রাজ্যে পায়ের তলায় মাটি সরছে বিজেপির, বাংলায় ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন বাস্তব হবে না, কটাক্ষ ঘাসফুল শিবিরের

যাঁরা ১৮ আসনের গরম দেখান বুঝে নিন কোনও রাজ্যে লোকসভা ভোটের ফলাফল বিধানসভায় প্রতিফলিত হয়নি। বাংলাতেও হবে না। এখানে (বাংলায়) ক্ষমতা দখল বিজেপির স্বপ্ন হয়েই থেকে যাবে। এভাবেই বিজেপিকে কটাক্ষ করল তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিন গত লোকসভা ভোটের ফলাফলের সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ভোট ও উপনির্বাচনের ফলাফলের তথ্য তুলে ধরে তৃণমূলের দাবি, সারা দেশে বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরছে। চন্দ্রিমার কথায়, সারা দেশে বিজেপি প্রায় ৬৬ শতাংশ আসন হারিয়েছে। সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে ১২টি রাজ্যে। বিজেপির জোট সরকার রয়েছে ৪টি রাজ্যে। সেখানেও প্রায় ৭৮ শতাংশ আসনে হেরেছে। বাকি রাজ্যগুলিতে ৭৫ শতাংশ আসন হারিয়েছে বিজেপি। তামিলনাড়ু, কেরল, তেলেঙ্গানা, দিল্লি, ছত্তিসগঢ়ে ইত্যদি রাজ্যে সাম্প্রতিক বিধানসভা ভোটে দাগ কাটতে পারেনি বিজেপি।
বাংলায় আসন্ন বিধানসভা ভোটে বিজেপি ২০০ আসন পাবে বলে সুর চড়াচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে চন্দ্রিমার কটাক্ষ, কেন্দ্রে যে রাজনৈতিক দল বসে আছে তারা এমন ভাব করে যেন অনেক কিছু করে ফেলেছেন। কিন্তু তা আদপে কিছুই নয়। দেশের মাটিতেই তাঁরা ক্রমশ মাটি হারাচ্ছেন।
বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপির আসন সংখ্যা তুলে ধরে চন্দ্রিমার কটাক্ষ, বিজেপি জমি হারাচ্ছে। হরিয়ানায় লোকসভা ভোটের ফলের সঙ্গে বিধানসভা ভোটের ফলের বিচার করলে দেখা যাবে ২১ শতাংশ আসন কমেছে বিজেপির। ঝাড়খণ্ডে ২২ শতাংশ, দিল্লিতে ১৭ শতাংশ, বিহারে ১২ শতাংশ ভোট কমেছে তাদের। আর ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বাংলায় তৃণমূলের ভোটের শতাংশ ছিল ৩৯.৭০ শতাংশ। ‘১৯- এর লোকসভা ভোটে তা বেড়ে হয় ৪৩.৩ শতাংশ। এরপরেই চন্দ্রিমার কটাক্ষ, যাঁরা ১৮ আসনের গরম দেখান, বুঝে নিন কোনও রাজ্যে লোকসভা ভোটের ফলাফল বিধানসভায় প্রতিফলিত হয়নি। আর বাংলাতেও হবে না। তাই এখানে ক্ষমতা দখল করা বিজেপির স্বপ্ন হয়েই থেকে যাবে। সন্দেহাতীত ভাবে মমতা আরও একবার ক্ষমতায় আসছেন, দাবি তৃণমূল মন্ত্রীর।
সেই সঙ্গে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির প্রশংসা করে চন্দ্রিমার দাবি, এমন কর্মসূচি আর কোনও রাজ্যের পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়। এপর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মসূচিতে সরকারি ক্যাম্পগুলোতে ১ কোটি ৮২ লক্ষ ২ হাজার ৪০৬ জন মানুষের পদার্পণ ঘটেছে। যার দ্বারা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, মানুষ মমতার সরকারের উপরই আস্থাশীল এবং সরকারও তাঁদের সঙ্গে আছেন।

Comments are closed.