মুখ্যমন্ত্রী: যারা দিল্লিতে বসে রেল মন্ত্রকে কলকাঠি নেড়েছেন, তাদের জন্য মাঝেরহাট ব্রিজ চালু করতে দেরি হল
৯ মাস আগেই মাঝেরহাট ব্রিজ চালু হয়ে যেত। কিন্তু রেলের জন্য দেরি হল। মাঝেরহাট ব্রিজের উদ্বোধন করতে গিয়ে কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর। বললেন, আমি নিজে রেলমন্ত্রী ছিলাম, জানি রেলের অফিসারদের কোনও দোষ নেই। দোষ নেতাদের। দিল্লিতে বসে যারা রেল মন্ত্রকে কলকাঠি নাড়েন, তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের জন্যই ব্রিজের ছাড়পত্র দিতে দেরি করা হয়েছে।
ভেঙ্গে পড়া মাঝেরহাট ব্রিজের জায়গায় তৈরি হয়ে গেছে জয় হিন্দ ব্রিজ। বৃহস্পতিবার ব্রিজের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে মমতা আক্রমণ শানান কেন্দ্রের দিকে। তাঁর অভিযোগ, ব্রিজের ছাড়পত্র দিতে দেরি করেছে রেল। না হলে আরও ৯ মাস আগে ব্রিজ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া যেত।
ব্রিজ না থাকার কারণে কলকাতার মানুষ বিশেষ করে বেহালা, টালিগঞ্জ, যাদবপুরের মানুষকে অসহনীয় কষ্ট করতে হয়েছে। একথা বলে মমতা সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার উদাহরণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই ব্রিজের জন্য রেলকে ৩৪ কোটি টাকা দিতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। পোর্ট ট্রাস্টকে দিতে হয়েছে ৭৭ লক্ষ টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, কী কারণে টাকা নেওয়া হল? আমি জানতে চাই, ওই টাকা নেওয়ার অধিকার কী রেলের আছে? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পারলে টাকাটা ফেরত দেবেন। মানুষের কাজে লাগানো হবে।
মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এদিন সরাসরি বিজেপির নাম নেননি। কিন্তু মাঝেরহাট ব্রিজের কাছে ক’দিন আগে বিজেপির অবস্থানকে কটাক্ষ করেন। নাম না করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে বিঁধে মমতা ব্যানার্জি বলেন, ছবি তোলানোর জন্য এখানে এসে নাটক দেখিয়ে গেছে। মমতার কথায়, পুলিশকে বলছে আমাকে গ্রেফতার করুন, না হলে ছবি উঠবে না! করব আমরা আর ওরা আঙ্গুর ফল খেয়ে যাবে!
মুখ্যমন্ত্রী জানান, নতুন ব্রিজের নাম দেওয়া হয়েছে জয় হিন্দ সেতু। খরচ হয়েছে মোট ৩১১ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা। গোটাটাই দিয়েছে রাজ্য সরকার।
Comments are closed.